শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে থাকতে বাইডেনের পুরস্কার উপেক্ষা করলেন মেসি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে থেকে মর্যাদার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব অনার নিতে যাননি মেসি। সেজন্যে বেশ দুঃখ প্রকাশ করেছেন মেসি। পরবর্তীতে অবশ্যই যাবেন এমন কথাও জানিয়েছেন লিও। তবে প্রশ্ন উঠেছে মেসি ছিলেন কোথায়। ঠিক কী কারণে লিওনেল মেসি গেলেন না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে পদক নিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবলের সূচি কিছুটা ভিন্ন হওয়ায় বেশিরভাগ লিগের সঙ্গেই তাদের শুরু–শেষের সময়টা মেলে না। এবারও কিছুটা আগেভাগেই বছর শেষের বিরতিতে গেছেন লিওনেল মেসিরা। লম্বা বিরতি কাটাতে তিনি বর্তমানে জন্মভূমি আর্জেন্টিনার রোজারিওতে অবস্থান করছেন।
কিন্তু রোজারিও থেকে পুরষ্কার নিতে না আসার আরেক কারণ সামনে এসেছে স্কাই ইতালিয়ার বিখ্যাত ফুটবল সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোর কল্যাণে। যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেন যখন ১৮ জন (মেসিসহ মোট পুরস্কারপ্রাপ্ত ছিলেন ১৯ জন) নাগরিককে সম্মাননা দিচ্ছেন, তখন মেসি ব্যস্ত শৈশবের বন্ধুদের নিয়ে। যে ক্লাব থেকে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু চলতি উইকেন্ড সেখানেই পার করেছেন মেসি।
When Lionel Messi was 6 years old, he played for Newells Old Boys. This week he reunited with the same guys he was in the team with back then!
Posted by Fabrizio Romano on Saturday, January 4, 2025
৬ বছর বয়সে নিউওয়েজ ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলা শুরু করেন মেসি। সেইসময় ক্লাবে যাদের পেয়েছিলেন সতীর্থ হিসেবে এতগুলো বছর পর তাদের সঙ্গেই দেখা করতে গেলেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। নিজের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবন নিয়ে এর আগেও প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। অনেকগুলো বছর পরেও শেকড়ের টানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসামান্য সম্মাননা উপেক্ষা করে আবার ভাসছেন প্রশংসায়।
মেসির পুরস্কার জেতার পর এক বিবৃতিতে ইন্টার মায়ামি লিখেছে, ‘লিও (মেসি) হোয়াইট হাউসকে একটি বার্তা দিয়েছে। যেখানে মেসি বলেছে, সে দারুণভাবে সম্মানিত এবং এই স্বীকৃতি পাওয়াটা দারুণ সৌভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু সাংঘর্ষিক সূচির কারণে এবং পূর্বপ্রতিশ্রুতির কারণে অনুষ্ঠানটিতে সে উপস্থিত থাকতে পারবে না। তবে অদূর ভবিষ্যতে সে তাঁর (বাইডেন) সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবে বলে আশাবাদী।’
আরও পড়ুন
১৯৬৩ সাল থেকে সর্বোচ্চ এই বেসামরিক পুরস্কার দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক উন্নয়ন, মূল্যবোধ ও নিরাপত্তায় অবদান; বিশ্বশান্তি অথবা সামাজিক, জনপরিসর কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে অবদান’ রাখায় দেওয়া হয় এই পুরস্কার। লিওনেল মেসি সেই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের বাইরে গিয়ে ‘লিও মেসি ফাউন্ডেশন’–এর মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে কাজ করার জন্য। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন।
জেএ