বিফলে গেল থিসারার সেঞ্চুরি, হারের হ্যাটট্রিক শাকিব খানের ঢাকার
দলীয় মাত্র ৪১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো হারের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে শাকিব খানের দলটিকে একা হাতে জয় এনে দেওয়ার প্রায় অসম্ভব স্বপ্ন দেখিয়েছেন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। সাবেক এই শ্রীলঙ্কান তারকা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও করেছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত জয় পাওয়া হয়নি। খুলনা টাইগার্সের করা ১৭৩ রানের জবাবে ১৫৩ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা।
এ নিয়ে চলতি বিপিএলে একদিনেই দুই সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে। দিনের প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উসমান খানের মুখে শেষহাসি জুটেছে তার দল চিটাগাং কিংস জয় পাওয়ায়। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে তারা ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ব্যক্তিগত মাইলফলকেও খুশি হতে পারছেন না ঢাকার অধিনায়ক থিসারা।
ঢাকার পক্ষে ৬০ বলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০৩ রান করেছেন এই লঙ্কান তারকা। এ ছাড়া ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের দলকে আর কেউই পথ দেখাতে পারেননি। খুলনার লক্ষ্য তাড়ায় তাদের শুরুটাই ছিল বাজে। অফফর্মে থাকা লিটন দাস যথারীতি ফিরেছেন মাত্র ২ রানে। দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানো ঢাকা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে একপর্যায়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪১/৬। এর মাঝে কেবল তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে আসে ১৯ রান।
বিপর্যয়ে পড়া ঢাকা বড় হারের শঙ্কায় ছিল। স্বদেশি সতীর্থ চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে এরপর থিসারা পেরেরা গড়েন ১১২ রানের বড় জুটি। যদিও পুরো দলকে একাই টেনেছেন পেরেরা। ৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরির পর বাকি ২৫ বলে করেন ৫৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৭টি ছক্কার বাউন্ডারি। সেই সুবাদেই নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটের তাদের রান পৌঁছায় ১৫৩ রানে। ২০ রানের হার নিয়ে চলতি আসরে তিন ম্যাচেই তিক্ত স্বাদ পেল ঢাকা। খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করা খুলনার হয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। তবে বেশ কয়েকজনের ক্যামিও ইনিংস তাদের ১৭৩ রানের লড়াকু পুঁজি এনে দেয়। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩২, নাঈম শেখ ৩০, উইলিয়াম বসিস্টো ২৬, জিয়াউর রহমান ২২ ও আবু হায়দার রনি ২১ রান করেন। ঢাকার পক্ষে ২টি উইকেট নেন ডি সিলভা। আরও ছয় বোলার নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এএইচএস