উসমানের সেঞ্চুরিতে বিপিএলে মিরপুরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
কুয়াশায় মোড়ানো শুক্রবারের শীতের দুপুরে মিরপুরে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন উসমান খান। চট্টগ্রাম কিংসের এই ওপেনারের হাত ধরে আসরের সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেল চলতি বিপিএল। ১৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ৬২ বলে ১২৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন উসমান। পাকিস্তানি এই ওপেনারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২১৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম।
বিপিএল ইতিহাসে মিরপুর শের-ই-বাংলায় এটিই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে মিরপুরে ২১৮ রানের রেকর্ড সংগ্রহ ছিল খুলনার। ২০২০ বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তৎকালীন নাম) বিপক্ষে এমন ইনিংস খেলেছিল তারা।
এ ছাড়া বিপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড রংপুরের। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছিল তারা। এ ছাড়া বাদবাকি বড় ইনিংসগুলোও সব চট্টগ্রামের মাঠেই হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং কিংস। তাসকিন আহমেদের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপরের গল্পটা উসমান খানের। দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের এই ওপেনার।
উসমান খানকে অন্য প্রান্তে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। যদিও ২৫ বলে ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় সোহাগ গাজীর বলে ফিরতে হয়েছে ক্লার্ককে।
তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন উসমান। নিজের রানটাও ততক্ষণে ফিফটি ছাড়িয়ে সেঞ্চুরির পথে। শেষ পর্যন্ত ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেনও। ৪৮ বলে বিপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক হাঁকালেন। ২০২৩ বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন উসমান খান। আজ চিটাগাং কিংসের হয়ে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন।
শেষ পর্যন্ত উসমান খান থামলেন ৬২ বলে ১২৩ রানের মাথায় তাসকিনের শিকার হয়ে। অন্যপ্রান্তে কেউ সেভাবে আর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ব্যর্থ হয়েছেন শামীম পাটোয়ারীও। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ২১৯ রানে থামে চট্টগ্রাম। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ।
এফআই