রেকর্ডগড়া ৭ উইকেটের স্পেল নিয়ে যা বললেন তাসকিন
বিপিএল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে সাক্ষী হলো দেশের ক্রিকেটভক্তরা। এমনকি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এটি মাত্র তৃতীয়বার। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে তাসকিন আহমেদ ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে একাই ৭ উইকেট নিয়েছেন। স্পোর্টিং উইকেটেও ব্যাটারদের ওপর এমন শাসন করতে পেরে দারুণ আনন্দিত এই ডানহাতি পেসার।
আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজশাহী ও ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাসকিনের আগুনে বোলিংয়ের পর আসরে নিজেদের প্রথম জয়ও পেয়েছে রাজশাহী। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় তাসকিন জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাচ জিতেছি। এরকম পিচে বল করতে খুব উপভোগ করেছি। বেশ স্পোর্টিং উইকেট। এমন উইকেট যদি বেশিরভাগ সময় পাওয়া যায়, আমাদের ক্রিকেট অনেক উন্নতি করবে। ব্যাটার-বোলার দুই দিকের জন্যই এমন পিচ ভালো।’
টি-টোয়েন্টিতেই যেহেতু এমন বোলিং ফিগার বিরল, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের মধ্যেও তাসকিন সেরা স্পেল উপহার দিয়েছেন। যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে বলে জানান এই টাইগার পেসার, ‘(এমন বোলিংয়ে) আমি গর্বিত, আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে। আমি প্রতিটি বল উপভোগ করেছি। উইকেট কখনও পাবেন, কখনও পাবেন না। তবে আমি প্রতিটি বল–প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগের চেষ্টা করেছি, চেষ্টা ছিল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের।’
এতদিনের অভিজ্ঞতা এখন কাজে লাগানোর সময় বলেও মন্তব্য করেন তাসকিন, ‘সবাই অনেক খুশি। সবাই বলতেছে- ওরা যেরকম স্টার্ট পেয়েছিল, উইকেট নিতে না পারলে হয়তো রান দুইশ প্লাসও হতে পারত। দেখলেনই তো উইকেট ফ্ল্যাট, ব্যাটার সেট হয়ে গেলে রান করতে পারে। আলহামদুল্লিলাহ। সত্যি কথা বলতে আমার দেওয়ার সময় শুরু হইছে। কারণ এত বছর আমার বোর্ড সাপোর্ট করছে, এক্সপেরিয়েন্সড হইছি আমি। সিচুয়েশন, গেম অ্যাওয়ারনেসগুলো ভালো হইছে। এটা আমার দায়িত্ব টিমকে সাপোর্ট করা। বাংলাদেশ দল হোক বা ফ্রাঞ্চাইজি। আল্লাহ যেন আমাকে ফিট রাখে লম্বা সময়। দোয়া কইরেন যেন সুস্থ থাকি।’
প্রসঙ্গত, আগে ব্যাটিং করা ঢাকার বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় ৭ উইকেট নেন তাসকিন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ আসরের ইতিহাসে এটাই এখন সেরা স্পেল। পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে। তবে তাসকিনের এমন তাণ্ডবেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়ে যায় লিটন-মুস্তাফিজদের ঢাকা।
পরে লক্ষ্য তাড়ায় এনামুল হক বিজয় ও রায়ান বার্লের ব্যাটে ১১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় রাজশাহী। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। বার্ল ৩৩ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৩ রান এসেছে বিজয়ের ব্যাট থেকে। এটি চলতি আসরে রাজশাহীর প্রথম জয়।
এসএইচ/এএইচএস