৪৬ বলে ১০১, সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন কুশাল পেরেরা
প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তাতে সিরিজটাও নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ছিল নিছকই নিয়মরক্ষার। কিন্তু সেই ম্যাচেই ইতিহাস গড়েছেন কুশাল পেরেরা। ১৮তম ওভারে প্রথমে ছয় মেরে গড়েছেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। এরপর সেই ওভারের ৩য় ও ৫ম বলে ছয়ের সাহায্যে পৌঁছে গিয়েছেন শতরানের ল্যান্ডমার্কে।
লঙ্কান টি-টোয়েন্টি মাত্র তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে শতক হাঁকালেন কুশাল পেরেরা। এর আগে শ্রীলঙ্কান জার্সিতে এই ল্যান্ডমার্কে যেতে পেরেছিলেন কেবল মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং তিলকারাত্নে দিলশান। তবে কুশাল আজ এই দুজনকে স্পর্শ করেছেন অনেকটা কম বল খেলে। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম শতকই আজ এসেছে এই বাঁহাতি ব্যাটারের কাছ থেকে।
এর আগে ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাহেলা সেঞ্চুরি পান ৬৩ বল খেলে। ৬৪ বলে ১০০ রান করে ফেরেন তিনি। পরের বছরেই পাল্লেকেলেতে ৫৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন দিলশান। ৫৭ বলে ১০৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন সেই ম্যাচে। আর ৪৪ বলে শতক করে দুজনকেই ছাড়িয়ে গেছেন কুশাল পেরেরা। যদিও এই ফরম্যাটে লঙ্কানদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এখনো দিলশানেরই কাছে থাকছে।
একইদিনে শ্রীলঙ্কার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৫০ পেরোনো ইনিংসের মালিক হয়েছেন কুশাল পেরেরা। পেছনে আছে ১৫টি ৫০+ ইনিংস খেলা কুশাল মেন্ডিসের ক্যারিয়ার। ১৪বার পঞ্চাশ পেরিয়েছেন পাথুম নিশাংকা এবং তিলকারাত্নে দিলশান। একইদিনে প্রথম শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ২ হাজার রান।
কুশাল পেরেরার ওই এক ইনিংসে ভর করে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তুলেছিল ২১৮ রান। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। কুশাল পেরেরার সঙ্গে রানের দেখা পেয়েছিলেন চারিথ আসালাঙ্কা। ২৬ বলে ৪৬ রান তার।
আরও পড়ুন
বিপরীতে কিউইদের হয়ে ঝড় তুলেছেন রাচিন রবীন্দ্র। ৩৯ বলে ৬৯ রান করে নিউজিল্যান্ডকে রেখেছিলেন কক্ষপথে। যদিও ড্যারিল মিচেলের ব্যাট থেকে ১৭ বলে ৩৫ রান ছাড়া আর কাউকে পাননি পাশে। শেষ পর্যন্ত খুব কাছে গিয়েও ৭ রানে ম্যাচ হেরেছে নিউজিল্যান্ড।
জেএ