বিপিএলের টিকিট ব্যবস্থাপনা ও নতুন পরিকল্পনা জানালেন ফারুক
বিপিএলের উদ্বোধনী দিন টিকিট না পাওয়ায় হতাশা ছিল দর্শকদের মধ্যে, এমনকি ক্ষুব্ধ দর্শকদের হাঙ্গামাও দেখা যায় মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকায়। যার বহিঃপ্রকাশ ছিল স্টেডিয়ামের মূল গেইট ভাঙচুর। বিপিএল শুরুর আগে খবরের শিরোনাম হয়েছে দর্শকদের এমন কাণ্ড। টিকিট কেনার ক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল ব্যাংক ও বুথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি তারা। অনলাইনে টিকিট কেনা দর্শকরাও গতকাল মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় ভোগান্তিতে পড়েন।
তবে কয়েকটা ম্যাচ গেলেই সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ্বাস বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের। আজ (মঙ্গলবার) প্রেসবক্স পরিদর্শনে গিয়ে এ নিয়ে ফারুক বলেন, ‘আপনারা এটার সুফল দেখতে পাবেন চারটা ম্যাচ পরই। সিস্টেমটা হচ্ছে আপনি টিকিট কাটবেন, টিকিটটা কেউ ছুঁতে পারবে না। গেটওয়ে দিয়ে ক্রিকেট বোর্ড কালেকশন আছে, কেউ কারও টাকা ধরার কিছু নেই। টিকিট কাটবে টাকা বোর্ডের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে, এর চেয়ে আরামের কি আছে।’
টিকিট কাটার ক্ষেত্রে ভোগান্তির বিষয়ে ফারুক আরও বলেন, ‘নতুন একটা জিনিস যখন হবে দুনিয়ার যেকোন জায়গায় (ঝামেলা হবে শুরুতে), আমি জানি না আপনারা বিশ্বকাপের টিকিট (অনলাইনে) কাটছেন কি না, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরতে থাকে, পারা যায় না। সুতরাং আমাদের সমালোচনা করলে হবে না। আমরা খুব তাড়াতাড়ি চেষ্টা করি। নতুন একটা জিনিস, ভালো জিনিস। প্রথম দিনে অনেক বেশি চাপ ও জাতীয় সার্ভারের এনআইডির একটা সমস্যা ছিল বা সবাই একসঙ্গে কাটতে গেছে বুথে। এ ছাড়া বুথে টিকিট পৌঁছেছে দেরিতে।’
আরও পড়ুন
‘বোর্ড থেকে তো সব পাস করাতে হয়। পাস করানোর মাঝে আমার সময় ছিল ৬ দিন। যে কোম্পানিগুলো এসেছিল তাদের সঙ্গে প্রাথমিক কিছু কাজ করেছিলাম। আবার টিকিট পার্টনারও পেয়েছি, যে টাকা খরচ হবে তিন বছরে আমি পার্টনারের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি টাকা পাব। এই ডিটেইলসটা আমি দিতে চাই না, এটুকু প্রাথমিকভাবে বললাম। এই সিস্টেমটা আমাদের অনেক টাকা দেবো’, আরও যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।
সকল সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দিলেন ফারুক আহমেদ, ‘সবচেয়ে বড় কথা এর মধ্যে ছোটখাটো কিছু ব্যাপার থাকবে, ব্ল্যাক (কালোবাজারি) করবে মানুষ, বিশ্বকাপের টিকিটও তো ব্ল্যাক হয়। আপনি টিকিটটা কেটে কোথায় বিক্রি করবেন সেটা তো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এটা চেষ্টা করতে হবে আমাদের। এই সিস্টেমে ২৬ হাজার ধারণক্ষমতা, একটা টিকিটও বাড়তি দেওয়া হবে না। প্রত্যেকটা টিকিটের কিউআর কোড না ভিডিএস বলে একটা সিস্টেম আছে দুইটা জিনিস কাজ করবে একসঙ্গে। কেউ নকল করতে পারবে না টিকিট, হ্যাকও করতে পারবে না। এজন্য এই সমস্যাগুলো হচ্ছে।’
এ ছাড়া জায়ান্ট স্ক্রিনে দর্শক উপস্থিতি ও টিকিট বিক্রির তথ্য দেখানোর নতুন পরিকল্পনাও করছেন বিসিবি প্রধান, ‘আমি পরিকল্পনা করেছি, তবে এ বছর এটা হবে না... প্রত্যেকদিন অ্যাটেন্ডেন্স, টিকিট সেল জায়ান্টস স্ক্রিনে দেখাই দেবো। এটা পরিকল্পনা করছি কিন্তু এটা করতে পারব কি না, সুবিধা-অসুবিধাগুলা দেখব। এগুলো মাথায় রাখতে হবে আর ভালো কাজ করলে বাহবা দিতে হবে, খারাপ কাজ করলে বলতে হবে এগুলোতে আরও একটু ভালো করা যায়।’
এসএইচ/এএইচএস