ঘটনাবহুল ১ বলে ১৫ রান, নো বলের ভিডিও দেখতে চান খুলনা কোচ
এক বলে ১৫ রান খরচ করে বিপিএলে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন ক্যারিবীয় বোলার ওশানে থমাস। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে আজ মিরপুরে দিনের প্রথম ম্যাচে একের পর এক নো আর ওয়াইডে এক বলেই দিয়েছেন ১৫ রান! এতে করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক বলে সবচেয়ে বেশি রানের নতুন বিশ্বরেকর্ডও দেখল বিপিএল।
ম্যাচ শেষে খুলনার প্রধান কোচ তালহা জুবায়ের সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বলেন, 'সত্যিকার অর্থে প্রথম বলে যখন উইকেট পড়ে গেছে, তারপর যখন হঠাৎ করে দেখলাম নো বল এবং ওইটা নিয়ে আমার একটু ডাউট আছে কারণ ওটার কোনো রিপ্লে আমরা দেখতে পাইনি যে বলটা আসলেই নো বল ছিল কি না। ওইটার রিপ্লে তারা দেখায়নি, ওইটার রিপ্লে আমি দেখতে চাইবো যে বলটার ভিডিও আমি চাই। সেকেন্ড অব অল তারপর যেটা শুরু হলো- আমিও কখনও দেখি নাই এক বলে ১৫ রান, নো বল……… তবে অনেকদিন ধরেন বোলারের শুরুটা ভালো যায় না।'
'ওশানে থমাসের গঠনটাও দেখবেন খুবই বাল্কি, লম্বা-চওড়া। সুতরাং ওকে আসলে- এই ধরনের প্লেয়ার যারা থাকে তারা এ রকম থাকে এবং থমাসের ফিটনেসে একটু ঘাটতি আছে আমার কাছে মনে হয় অ্যাজ এ ফাস্ট বোলার। ব্যাড ডে ছিল হয়তো বা রিদমটা পায়নি। কিন্তু ওর তো নো বলের টেন্ডসি একটা আছে, ইন্টারন্যাশন্যাল ম্যাচেও আমরা দেখেছি ওর নো বল হয়। বড় রান-আপ নিয়ে হয়তো কখনও কাজ করেনি। এই প্রব্লেমটা নিয়ে হয়তো কখনও কাজ করেনি। এই কারণে হয়তো এই প্রব্লেমটা নিয়ে। বাট ইটস ভেরি নিউ এক বলে ১৫ রান দেওয়া।'
বিপিএল ইতিহাসে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে কম বলে আজ অর্ধ-শতক হাঁকিয়েছেন মাহিদুল অঙ্কন। তাকে নিয়ে তালহা বলেন, 'আমি অঙ্কনের ব্যাপারে যেটা জানি যে ও ডমেস্টিক থেকেও এবং গত বছর বিপিএল থেকেও… গত বছর যখন বিপিএলে খেলেছে লাস্টের দিকে নেমে কম বল খেলে বেশি রান করেছে। এটা খুব হেল্প করেছে। ১৮০ রানকে ২০০ তে নিয়ে গেছে কিংবা ২২০ য়ে নিয়ে গেছে। হ্যাঁ, অঙ্কন পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করছে এবং এখন ওর যে কনফিডেন্স লেভেলটা আছে- সেটা সবাই দেখলেন।'
'একটা সময় ছিল ওই সময় নাওয়াজকে সেন্ট করব নাকি অঙ্কনকে। পরে আমি ডিসাইড করছি যে অঙ্কনই যাবে। আমার একটা টার্গেট ছিল ১৫ ওভারের মধ্যে যদি উইকেট পড়ে তাহলে অঙ্কন যাবে। ১৫ ওভারের পরে হলে হয়তো ডিফারেন্ট সিনারিও হতে পারত। যেহেতু ১৫ ওভারের মধ্যে উইকেট গেছে সো অঙ্কনই ছিল এবং এইটুকু বিশ্বাস ছিল ওর উপরে যে ধরনের মেন্টালিটি নিয়ে আছে এবং মাইন্ড সেটাপে আছে- আমার সঙ্গে যখন প্র্যাকটিসে বা আগে কথা হয়েছে আমি ওকে একটা কথাই বলেছি যে তোমার যে মাইন্ড সেটাপ আছে ওইটা থেকে বের হইয়ো না। টিম প্ল্যান তো থাকবেই, তোমারও একটা গেম প্ল্যান আছে- সো দুইটাকে কম্বাইন্ড করে বেস্ট পসিবল পারফরম্যান্সটা যাতে শো করে। আমার সব প্লেয়ারকে সব সময় এক কথাই বলি, আই উইল ব্যাক ইউ, নো ম্যাটার হোয়াইট। আপনি একদিন ভালো খেলবেন, একদিন খারাপ খেলবেন। কিন্তু আপনার ন্যাচারাল গেম থেকে বের হওয়া উচিত না।'- যোগ করেন এই কোচ।
এসএইচ/এফআই