দুর্দান্ত লড়াই শেষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
লক্ষ্য মাত্র ১৪৮। ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ঘরের মাঠে খুব একটা বড় টার্গেট না নিশ্চিতভাবেই বলা চলে। কিন্তু পাকিস্তান সেই মামুলি টার্গেটকেই করলো অনেকটা কঠিন। আরও স্পষ্ট করলে আব্বাস আফ্রিদি। ৬ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য প্রায় অসম্ভবন করে তুলেছিলেন এই টার্গেট। অথচ এই ম্যাচটা জিতলেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত প্রোটিয়াদের জন্য।
এতটা কাছে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও একবার চোকার্স তকমা পাবে এমনটাই হয়ত ভাবতে বসেছিলেন অনেকে। ৯৯ রানেই যে তারা হারায় ৮ উইকেট। কিন্তু কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের ছিল ভিন্ন চিন্তা। ইয়ানসেন খানিক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার হয়েও থাকলেন নিষ্ক্রিয় হয়ে। আর রাবাদা হলেন পুরোদস্তুর ব্যাটার।
দুজনে মিলে নবম উইকেটে তুললেন ৫২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেল ২ উইকেটে। সেইসঙ্গে প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করলো ২০২৫ সালের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কাজটা কঠিন হচ্ছে সেই আভাস গতকালই দিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান। শেষ বিকেলের আলোয় মাহমুদ আব্বাস ২ উইকেট আর খুররাম শেহজাদ ১ উইকেট নিয়ে জমিয়ে তুলেছিলেন শেষ দিনের আমেজ। তবু টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে দলের স্কোর ৬০ পার করেন এইডেন মার্করাম। চতুর্থ উইকেটে আসে ৪১ রানের জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে যখনই সাবলীল মনে হয়েছে, তখনই ফের আঘাত হানেন আব্বাস।
মার্করামকে ফেরান ৬২ রানে। এরপর বাভুমাকে আউট করেন দলীয় ৯৬ রানে। ৯৯ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় আরও ৩ উইকেট। ৯৬ রানে ৪ উইকেট থেকে ৯৯ রানে হয় ৮ উইকেট। এখান থেকেই অবশ্য পালটা লড়াই শুরু করেন রাবাদা এবং ইয়ানসেন। ৫১ রানের জুটিতে দলকে জেতান স্নায়ুচাপের এক ম্যাচ।
এর আগে সেঞ্চুরিয়ানে বক্সিং ডেতে ব্যাট করতে নেমে মোটে ২১১ রান তোলে পাকিস্তান। কামরান গুলামের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫৪ রান। ডেইন প্যাটারসন নেন ৫ উইকেট। করবিন বশের উইকেট ৪টি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মার্করামের ৮৯ এবং বশের ৮১ রানের সুবাদে লিড নেয় প্রোটিয়ারা।
৩১১ রানে অলআউট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৯০ রানের লিড। ৩টি করে উইকেট খুররাম শেহজাদ ও নাসিম শাহ’র। পিছিয়ে পড়ে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ২৩৭ রান। দুই বছর পর ফিফটি পান বাবর আজম। সৌদ শাকিলের ব্যাটে আসে ৮৪ রান।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের আটকে রাখতে যথেষ্ট হয়নি ১৪৮ রানের এই টার্গেট। মোহাম্মদ আব্বাস ৬ উইকেট নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানালেও রাবাদার ৩১ রানের ইনিংসই দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলে দেয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।
জেএ