বিপিএলে চার দেশি কোচের বিপরীতে তিন বিদেশি কোচ
বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে। মাঝে একদিন বিরতির পরেই শুরু হবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএল। খেলা মাঠে গড়ার আগে অবশ্য নানা আলোচনায় আছে এবারের আয়োজন। খেলা শুরুর আগে দল সাজিয়ে নিয়েছে অংশগ্রহণকারী সাত ফ্র্যাঞ্চইজি। দলীয় কোচের অধীনে শুরু হয়েছে দলগুলোর অনুশীলন।
সাত দলের মাঝে চার দলই অনুশীলন করছে দেশি কোচের অধীনে। অন্যদিকে বিদেশি কোচ উড়িয়ে এনেছে তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি। যার মাঝে সবচেয়ে বড় নাম অবশ্যই রংপুর রাইডার্সের কোচ মিকি আর্থার। প্রোটিয়া এই কোচের সিভি বেশ সমৃদ্ধ। কাজ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। রংপুর রাইডার্সেরও পরিচিত কোচ তিনি। চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন গ্লোবাল সুপার লিগে।
শন টেইটের জন্য এবারের বিপিএল অনেকটা হোমকামিং বলা চলে। চিটাগাং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে খেলেছিলেন ১০ বছর আগে। এবার সেই দলের কোচ তিনি। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি আর জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসারের। আরেক বিদেশি কোচ দুর্বার রাজশাহীর। পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতা ইজাজ আহমেদকে নিজেদের হেডকোচ করেছে তারা।
দেশি কোচের মাঝে মিজানুর রহমান বাবুল অবশ্যই সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। ফরচুন বরিশালকে গত আসরে শিরোপা এনে দিয়েছেন। এই আসরেও তাকেই কোচ করে রেখেছে বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি। জাতীয় দলের সাবেক তারকা তালহা জুবায়ের যথারীতি থাকছেন খুলনা টাইগার্সের কোচ হিসেবে।
কিছুটা অপরিচিত মনে হতে পারে সিলেট স্ট্রাইকার্স দলের কোচ মাহমুদ ইমনকে। তবে ক্রিকেটের খোঁজ নিয়মিত রাখেন এমন কারো কাছে তিনি মোটেই অপরিচিত নন। ২০২২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলেরই কোচ ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞতার ঝুলিটাও তাই বেশ বড় সিলেট কোচের।
আরও পড়ুন
অভিজ্ঞতার প্রশ্নে এগিয়ে থাকবে ঢাকাও। বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া খালেদ মাহমুদ সুজনকে কোচ করেছে শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালস। তারকাখচিত দলকে পরীক্ষিত এই কোচ এগিয়ে নেবেন শিরোপার পথে–এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।
জেএ