অফফর্মে থাকা লিটনকে প্রধান নির্বাচকের কড়া হুঁশিয়ারি
প্রায় বছর খানেক সীমিত ওভারের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) ক্রিকেটে তেমন ছন্দে নেই লিটন দাস। এমনকি গত এক বছরে নেই ওয়ানডে গড় ১০–এর নিচে এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৭–গড়ের আশপাশে। একই সময়ে সাদা বলে লিটন কেবল একটি (টি-টোয়েন্টিতে) ফিফটি করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজেও এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ব্যর্থ। আজ (সোমবার) প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও আউট হন গোল্ডেন ডাক নিয়ে।
এমন অবস্থাতেও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন। ফলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে লিটনকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘আমরাও বুঝতে পারছি লিটন দাসের কাছ থেকে দল যা আশা করে, যে মাপের ব্যাটার তিনি, সেভাবে সাদা বলে মোটেই ধারাবাহিক নন। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও কিন্তু তাকে দলের বাইরে রেখেছিলাম। বর্তমানে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক, সিরিজ চলছে। বিস্তারিতভাবে কথা বলার এটা আদর্শ সময় নয়।’
লিটনকে ফর্মে ফেরাতে তার সঙ্গে কোচদের কাজ করার পাশাপাশি বিরতি দেওয়ার প্রসঙ্গও তুলেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘আমরা অবশ্যই চিন্তিত তার আউট হওয়ার ধরন নিয়ে। যদি সেখানে কিছু মেরামতের প্রয়োজন হয়, মেরামতের জন্য কোচরা আছেন। সাময়িক বিরতির জন্য কোচরা আছেন। সামনে আরও ২ ম্যাচ আছে, সেখানে (রাতে) ফিরে আসতে পারলেই ভালো।’
আরও পড়ুন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাংলাদেশ নিজেদের পছন্দের ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। এর নেপথ্যে ব্যাটিং বিপর্যয়। ব্যাটারদের অধারাবাহিকতা নিয়ে লিপু বলেন, ‘এর কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট খুঁজছে। ওপর থেকে যদি আমাদের ব্যাটিংয়ের এই বিপর্যয়টা না হতো, যেটা পাকিস্তান সিরিজ থেকে চলছে কম-বেশি। মিডল অর্ডার আমি বলব এই সিরিজে অনেক ভালো খেলেছে। না হলে হয়তো আরও খারাপ কিছু হতে পারত। এটা নিয়ে নিশ্চয়ই কোচরা কাজ করছে। চোটের কারণে সেরা কিছু ক্রিকেটারকে পাইনি এটাও সত্য।’
প্রসঙ্গত, আজ থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ব্যাট হাতে লিটন ম্যাচটিতে ব্যর্থ হলেও, দলীয় পারফরম্যান্সে তার দল ৭ রানের জয়ে সিরিজ শুরু করেছে। সেন্ট কিটসের একই ভেন্যুতে পরবর্তী দুই টি-টোয়েন্টিও হবে আগামী ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর।
এসএইচ/এএইচএস