বিদায়ী ইনিংসে সেঞ্চুরি হলো না সাউদির, থামলেন ৯৮-এ
টেস্ট ক্রিকেটের বয়স প্রায় দেড়শ বছর। এতগুলো দিনে অনেকেই খেলেছেন জেন্টেলসম্যান গেইমের বনেদি ফরম্যাটে। তবে তাদের মাঝে বেন স্টোকস, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর অ্যাডাম গিলক্রিস্টের নামটা একটু আলাদা করেই উচ্চারিত হবে সবসময়। টেস্ট ক্রিকেট যেখানে ধৈর্য্যের খেলা, সেখানেই ১০০ ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই তিনজন।
ছোট এই ক্লাবে প্রবেশের সুযোগ ছিল আরও একজনের জন্য। তিনি নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। একজন পরিপূর্ণ বোলার হয়েও যিনি গিয়েছিলেন সেঞ্চুরি খুব কাছাকাছি। হ্যামিলটনে নিজের শেষ ইনিংসটা যেদিন খেলতে নেমেছেন তখন তার নামের পাশে ৯৮টি ছক্কা। একজন বোলার হয়েও এমন রেকর্ড তার জন্য বিশেষ কিছুই বটে।
লক্ষ্য ছিল ছক্কার সেঞ্চুরি। তবে হলো না সেটা। জ্যাকব বেথেলের বলে আউট হয়েছেন সাউদি। ১০৭ টেস্টে ১৫৬ ইনিংসে ৯৮ ছক্কা হাঁকিয়েই তুলে রাখলেন নিজের ব্যাটটা। বিদায়ী ইনিংসে করেছেন ২ রান। তবে ততক্ষণে হ্যামিলটনে ম্যাচ জয়ের মতো পুঁজি হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের। আগের দিনই ৩৪০ রানের লিড ছিল তাদের। কেইন উইলিয়ামসনের ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরির দিনে ইংল্যান্ডের সামনে তারা দিয়েছে ৬৫৮ রানের বিশাল টার্গেট।
বর্তমানে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি ছক্কা সাউদিরই ছিল। তিনি অবসর নেয়ার পর সেটা চলে যাবে রোহিত শর্মা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের কাছে। এই দুজনের ব্যাট থেকে টেস্ট ফরম্যাটে এসেছে ৮৮টি ছক্কা। এরপরেই আছেন ঋশাভ পান্ত ও রবীন্দ্র জাদেজা। তাদের ছক্কা ৬৮টি করে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ছক্কা তামিম ইকবালের। সাদা পোশাকে তিনি হাঁকিয়েছিলেন ৪১ ছয়।
আরও পড়ুন
হ্যামিল্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে কিউইদের সংগ্রহ ছিল ৩৪৭। স্যান্টনারের ৭৬ আর টম ল্যাথামের ৬৩ রানের পর উইল ইয়াং এবং কেইন উইলিয়ামসনের ৪০ পেরুনো দুই ইনিংস দিয়েছিল বলার মতো পুঁজি। এরপরেই ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড দেখেছে ভরাডুবি। জো রুটের ৩২ ছাড়া আর কেউ ত্রিশের কোটায় যেতেই পারেননি এদিন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান বেন স্টোকসের। আর ওলি পোপ করেছেন ২৪।
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কা
১৩৩ - বেন স্টোকস, ইংল্যান্ড (১৯৮ ইনিংস)
১০৭ - ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, নিউজিল্যান্ড (১৭৬ ইনিংস)
১০০ - অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, অস্ট্রেলিয়া (১৩৭ ইনিংস)
৯৮ - টিম সাউদি, নিউজিল্যান্ড (১৫৬ ইনিংস) ও ক্রিস গেইল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৮২ ইনিংস)
৯৭ - জ্যাক ক্যালিস, দক্ষিণ আফ্রিকা (২৮০ ইনিংস)
ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৩ রানে। নিউজিল্যান্ডের লিড ২০৪ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে এরপর ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। উইল ইয়াং ও ড্যারিল মিচেলের ৬০ রানের পাশাপাশি ১৪৯ রান করেছেন কেইন উইলিয়ামসন।
তাতেই ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৬৫৮। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ১৮ রানেই দুই উইকেট খুইয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে ইংল্যান্ড। নিজের শেষ ইনিংসে বল করতে এসে উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি নিজেও।
জেএ