শামীমের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশের লড়াকু স্কোর
১৫ ওভার শেষে রান ছিল ৯৫। বাংলাদেশের স্কোর সেখান থেকে ১৪০ পেরুবে এমন বাজি ধরার লোক ছিল কম। সেখান থেকেই বেশ একটা ঝড় তুলেছেন শামীম পাটোয়ারী। ১ বছর পর জাতীয় দলে ফিরে দারুণ এক ইনিংসই উপহার দিয়েছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তিন ছক্কা আর ১ চারের মার এসেছে তার ১৩ বলের ইনিংস থেকে। সঙ্গ হিসেবে পেয়েছেন শেখ মেহেদি হাসানকে।
দুজনে মিলে বাংলাদেশের স্কোর ১৪০ পার করতে সাহায্য করেছেন। শামীম যখন আউট হয়েছেন তখনো ইনিংসে বাকি এক বল। শেষ বল থেকে রিশাদ হোসেন নিলেন দুই রান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ১৪৭ রানে।
শুরুটা একেবারেই মন্দ ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই এসেছিল এক বাউন্ডারি। সেটা ইনফর্ম সৌম্য সরকারের কারণে। পরের ওভারে ওবেদ ম্যাককয়কে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তানজিদ তামিম। তৃতীয় ওভারেই আসে আঘাত। আকিল হোসেইনের গুড লেন্থের বলে সুইং মিস করেছেন। শুরু থেকেই ভুগতে থাকার পর ১১ বলে ৬ রান করে আউট হলেন এই ব্যাটার।
পরের বলেই আকিল হোসেইনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন নিজেও। সেই ওভারে আর কোন রানও আসেনি। জোড়া উইকেটের সঙ্গে মেইডেন ওভার পেয়েছেন উইন্ডিজের অফ-স্পিনার।
আলজারি জোসেফের পরের ওভার থেকে সৌম্য নিয়েছেন মোটে ১ রান। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে রস্টন চেজের বলে আউট হয়েছেন আফিফ হোসেনও। ওভারের শুরুর বলেই রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি পেয়েছিলেন সৌম্য। আফিফও সেই একই শট খেলতে গিয়ে বাড়িয়েছেন দলের বিপদ। ওভারের শেষ বলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অবশ্য আউট হয়েছিল সৌম্য নিজেও। বেঁচেছেন রিভিউ নিয়ে।
মাঝের ওভারগুলোতে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ভারী করেছে জাকের আলী ও সৌম্য সরকারের জুটি। বাউন্ডারি এসেছে নিয়মিত। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসা ছক্কায় বল পেরিয়েছিল আর্নেস ভ্যালি স্টেডিয়াম। দুজনের ৪২ বলে ৫৭ রানের জুটিতে অবশ্য দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল ডটবল। সেই তাগিদেই বড় শট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যের আউট হয়েছিলেন জাকের।
সীমানার এ পারে দাঁড়িয়ে ঠিকঠাকই হাতে নিয়েছিলেন রোভমান পাওয়েল। তবে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকবে না বুঝতে পেরে বল ওপরে ছুঁড়ে দিয়ে প্রথমে বাউন্ডারির বাইরে গেছেন, এরপর ভেতরে ঢুকে আবার ক্যাচ নিয়েছেন। এরপরেই জীবন পেয়েছিলেন সৌম্য আর মেহেদি হাসান। ৪১ রানে পাওয়া জীবন অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি সৌম্য।
তাতে অবশ্য শাপেবর হয়েছে টাইগারদের জন্য। শামীম ক্রিজে এসেই ঝড় তুলেছেন। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫১ রান। তাতেই স্কোর গিয়েছে ১৪৭ পর্যন্ত।
জেএ