বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছেন কেসি কার্টি
ইনিংসের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য ছিল দারুণ। ৩১ রানের মাঝেই টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ এবং হাসান মাহমুদ। নতুন বলের সাফল্যের পর ক্যারিবিয়ানদের কিছুটা কক্ষপথে রেখেছিলেন কেসি কার্টি এবং শেরফান রাদারফোর্ড। চলতি সিরিজে রাদারফোর্ড হয়ে উঠেছেন স্বাগতিকদের ব্যাটিং অর্ডারের বড় ভরসা।
তাসজিন আহমেদ সেই রাদারফোর্ডকেও ফেরত পাঠিয়েছেন। ইনিংসের ১৫তম ওভার করতে আসা তাসকিন শর্ট ডেলিভারি করেছিলেন। ছক্কা মারার আশায় পুল করতে গেলেন রাদারফোর্ড। কিন্তু ধরা পড়লেন তানজিদ হাসান তামিমের হাতে। ক্রিজে আসেন নবাগত আমির জাঙ্গু।
এখান থেকেই মূলত উইন্ডিজের ভরসা জাগানো জুটির শুরু। কেসি কার্টি কদিন আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন দুর্দান্ত। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে তুলে নিলেন ফিফটি। সুযোগ বুঝে চড়াও হয়েছেন। অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুকে কিছুটা ভরসাই জোগালেন যেন। দুজনের জুটি যোগ করেছে ৬৯ রান।
২৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৫০। একইসময়ে বাংলাদেশ করেছিল সমান ১৫০ রান। পরের ২৫ ওভারে উইন্ডিজদের দরকার আরও ১৭২ রান।
এর আগে ইনিংসের ২য় ওভারেই উইন্ডিজ শিবিরে ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের সেই ওভারে ১৪ রান এলেও শেষ বলে রানআউট হয়ে যান ব্রেন্ডন কিং। নিজের পরের ওভারেই ফের উইকেটের দেখা পান নাসুম। এবারে বোল্ড করেন অ্যাথানেজকে। স্টাম্প থেকে সরে এসে সুইপ করতে চেয়েছিলেন। তার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে ফুল লেংথের বল সরাসরি স্টাম্পে।
অধিনায়ক শেই হোপ টিকতে পারেননি বেশি সময়। হাসান মাহমুদের করা অফ স্টাম্পের বাইরে বলে হিট করতে সময়ের গড়বড় করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। ফলাফল- প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিলেন সৌম্য সরকারকে।
জেএ