নাদিফ চৌধুরীর হাত ধরেই আজকের রিপন মন্ডল
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। এই সিরিজ দিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার রিপন মন্ডল। সিরিজ খেলতে আজই দেশ ছাড়বেন তিনি। তার আগে ঢাকা পোস্টকে জানালেন নিজের ভাবনা ও উঠে আসার গল্প।
প্রথমবার জাতীয় দলে, স্বপ্ন পূরণ হলো ...
রিপন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে। আসলে এতদিন একমাত্র লক্ষ্য ছিল যে করেই হোক জাতীয় দলে খেলতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, দলে ডাক পাওয়ায় প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
জাতীয় দলে ডাক পেলেন, খুশির খবরটা কাকে আগে জানালেন...
রিপন: আমার বাবা-মাকে জানিয়েছিলাম। এরপর অন্যদের সাথে শেয়ার করেছি। এরপরতো দল ঘোষণার পর বাকিরাও দেখেছে। আমার কোচদেরও আলাদা করে খুশির খবরটা জানিয়েছি।
লম্বা সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন জাতীয় দলের জন্য, এই পথ পেরোতে কার অবদান বেশি মনে করেন...
রিপন: আলহামদুলিল্লাহ আসলে প্রতিটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে একদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলার। আমারও তেমনটাই ছিল। ভালোই লাগছে, আমি মনে করি এবার যে ডাকটা পেয়েছি। এটাই যেন শেষ না হয়। সামনে সব জায়গায় যেন ডাক পেতে পারি সেই চেষ্টাই সবসময় থাকবে।
আমি যখন ছোট থেকে প্রাকটিস করতাম নাদিফ চৌধুরী ভাইয়ের সাথে কথা হতো। আজকের অবস্থানে আসতে উনি আমাকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছেন। আমি যখন এইজ লেভেলে পারফর্ম করেছিলাম তখনকার সময় নির্বাচকের সঙ্গে ভাই কথা বলেছিলেন। এরপর নাইন্টিনের যে ক্যাম্পটা ছিল সেই ক্যাম্পে আমাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপর ওই ক্যাম্পে ভালো করে আসলাম। পরে আজকে এ পর্যন্ত এসেছি, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
প্রসঙ্গত, পেশাদার ক্রিকেট ছেড়ে বর্তমানে বিসিবির বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে কাজ করছেন নাদিফ চৌধুরী। ৩৭ বছর বয়সী নাদিফ বাংলাদেশের হয়ে ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের পেসাররা ভালো করছেন, পাইপলাইনেও একাধিক পেসার আছেন। দলে টিকে থাকতে কঠিন প্রতিযোগিতা হবে। এ নিয়ে ভাবনা কি?
রিপন: হ্যাঁ চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। আমাদের দেশের ক্রিকেটের জন্য এটা ভালো। সুস্থ কম্পিটিশন থাকলে আমাদের নিজেদের মধ্যেই সেটা ভালো হবে, দেশে আরও ভালো পেস বোলার পাবে। ভালো প্রতিযোগিতা থাকলেও, আপনি যদি আপনার প্রসেসে এগিয়ে যেতে পারেন তাহলে ভালো করতে পারবেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলে সুযোগ পাবেন বলে মনে হয়?
রিপন: দেখুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলে না শুধু, সবই উইকেটেই কিন্তু চ্যালেঞ্জ থাকে কিছু না কিছু। চ্যালেঞ্জ থাকবেই আমি অনূর্ধ্ব-১৯ সেখানে খেলেছি, আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেখানকার উইকেট কেমন হবে বা আবহাওয়া কেমন থাকে আমার একটা জানাশোনা আছে। আমি জানি আসলে ওখানে বল কি করা লাগবে। আমি যদি সুযোগ পাই অবশ্যই আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।
নির্বাচক হান্নান সরকারের সাথে কথা হয়েছে, উনি আপনাকে কি বলেছে...
রিপন: স্যারের সাথে শেষ বছর এইচপিতেও কাজ করেছি একসাথে। সিলেক্টার হিসেবে উনি দলের সাথে অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েছিলেন, সেখানে অনেক কথা হয়েছিল। স্যার আমাকে অনূর্ধ্ব ১৯ থেকেই চেনেন, খুব ভালো সম্পর্ক স্যারের সাথে। সবকিছু নিয়ে স্যারের সাথে কথা বলতে পারি, খুব সহজেই। আমাকে সবসময় বলতো যে শুধু ঘরোয়াতে পারফর্ম করলে হবে না, ইন্টারন্যাশনালি কিভাবে পারফর্ম করতে হবে সেভাবে আগাতে হবে।
আপনার জন্য শুভকামনা
ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন।
এসএইচ/এফআই