৪১২ রানের ম্যাচে শেষ বলে ছক্কা মেরে জিতল ঢাকা
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। সিলেটের তোফায়েল আহমেদের করা ওভারটির প্রথম ৫ ডেলিভারি থেকে ৭ রান নিতে পারে ঢাকা বিভাগ। শেষ বলে জয়ের জন্য ঢাকার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ রান। ব্যাটিং প্রান্তে ছিলেন শুভাগত হোম। ছক্কা মেরে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন দলকে।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচেই চার ছক্কার ঝড় বয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে রেকর্ড ১০ ছক্কায় মাত্র ৫২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন জিসান আলম। তরুণ এই ডানহাতি ব্যাটারের ঝোড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করেছিল সিলেট বিভাগ।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিসানের ইনিংসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন ঢাকার তরুণ ব্যাটার আরিফুল ইসলাম। ৪৬ বলে ৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়েই আউট হয়ে গেছেন যদিও। তবে তার দল ঠিকই জয় পেয়েছে। ৬ উইকেটের জয়ে আসর শুরু করল ঢাকা বিভাগ।
আজ (বুধবার) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে বুধবার ঢাকা বিভাগের সাথে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক দল। ওপেনার তৌফিক ও জিসান আলমের ব্যাটে ৪৯ রানের জুটি পায় দলটি। তবে শুরু থেকে মন্থর গতিতে ব্যাট চালানো জিসান সময় বাড়ার সাথে রানের গতিও বাড়িয়েছেন।
এনসিএলে এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে জিসানের খরচ করতে হয়েছে ৫২ বল। তবে প্রথম অর্ধশতক পেতে ৪০ বল খেলতে হয়েছে সিলেটের ওপেনারের। পরবর্তী অর্ধশতক করতে মাত্র ১২ বল খেলেছেন এ ডানহাতি। ম্যাচের ১৭তম ওভারে নাজমুল হোসেন অপুর বলে আউট হওয়ার আগে এ ব্যাটার ৫৩ বলে করেন ১০০ রান। যেখানে চার বাউন্ডারির সাথে ছিল ১০ ছক্কা।
জিসানের খুনে ব্যাটিং দেখা গিয়েছে ম্যাচের ১৪তম ওভারে। অফস্পিনার মোহাম্মদ আরাফাতের ওভারে ৫ ছক্কায় তুলেছেন ৩২ রান। পরবর্তী ওভারে সুমন খানের ওপর চড়াও হন এ ব্যাটার। সুমনের ওভারে ডাবল ছক্কায় সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছান তিনি। ১৬তম ওভারে নজমুল ইসলাম অপুর বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি করে দুহাত উঁচিয়ে ধরেন তিনি, অপুর বলেই পরে বোল্ড হয়ে থামে তার স্মরণীয় ইনিংস। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম শতকের দেখা পেয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশিদের মধ্যে যা চতুর্থ দ্রুততম। এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের (৪২ বল)। তামিম ইকবালের ৫০ বলের সেঞ্চুরি এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ৫১ ও ৫২ বলে সেঞ্চুরি আছে।
বড় টার্গেট তাড়ায় দলীয় ২ রানের মাথায় অধিনায়ক সাইফ হাসানকে হারায় ঢাকা। ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফিরেছেন আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলীও। এরপরই খুনে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন আরিফুল ইসলাম। জিসানের চেয়েও বিধ্বংসী ইনিংসে ৪৬ বলে ২০৪.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৯৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ঝোড়ো ইনিংসটিতে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কার মার মেরেছেন।
শেষ বলে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তুফায়েল আহমেদের করা শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ঢাকাকে ম্যাচ জেতান শুভাগত হোম চৌধুরী।
এফআই/