শীর্ষ ৫ দলে পয়েন্ট ব্যবধান তিন, জমে উঠেছে ইতালিয়ান লিগ
নব্বইয়ের দশক কিংবা নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে ইতালিয়ান সিরি-আ মানেই ছিল ভিন্ন এক উন্মাদনা। ইন্টার মিলান, এসি মিলান, জুভেন্টাস, রোমা কিংবা ফিওরেন্তিনা নিয়মিত জমিয়ে রাখত ইউরোপের এই প্রেস্টিজিয়াস লিগ। কিন্তু ক্লাবগুলোর আর্থিক অবস্থা, ফুটবলে পেট্রো ডলারের ব্যাপক উত্থান এবং ট্রান্সফার মার্কেটে অনেকটা পিছিয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসে ইতালিয়ান লিগের জৌলুশ।
যদিও বিগত কয়েক বছরে আবার নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে ইতালিয়ান লিগ। গত ৫ বছরে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন চ্যাম্পিয়ন দেখেছে এই লিগ। সেইসঙ্গে ইউরোপিয়ান ফুটবলেও দেখা গিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর সাফল্য। গত মৌসুমে ইউরোপা লিগ এবং কনফারেন্স লিগে ছিল দুই ইউরোপিয়ান ক্লাব আটালান্টা ও ফিওরেন্টিনা।
চলতি মৌসুমেও ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ ৫ লিগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমাট অবস্থা দেখা গিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবলের শীর্ষস্তরের লিগে। এখন পর্যন্ত লিগের ১৫ রাউন্ডের ম্যাচ শেষে শীর্ষ ৫ দলের পয়েন্ট ব্যবধান মোটে তিন। শীর্ষে থাকা আতালান্টার পয়েন্ট ১৫ ম্যাচ শেষে ৩৪। এতদিন শীর্ষে থাকা নাপোলি শেষ দুই ম্যাচে পয়েন্ট খুইয়ে নেমে এসেছে দুইয়ে। তাদের পয়েন্ট ৩২।
তিন আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইন্টার। তাদের অর্জন ৩১ পয়েন্ট। তবে তারা আতালান্টার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে। নিজেদের ১৫তম ম্যাচ জিতলেই নেরাজ্জুরিরা চলে যাবে সবার ওপরে। একই সুযোগ থাকছে চারে থাকা ফিওরেন্টিনার জন্যেও। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্টও ৩১। ১৫তম ম্যাচে বোলোনিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই তারা চলে যাবে ৩৪ পয়েন্টে। যদিও গোলব্যবধানে পিছিয়ে থাকবে তারা।
৫ম স্থানে থাকা ল্যাজিওর পয়েন্টও ১৫ ম্যাচ শেষে ৩১। যার অর্থ, শীর্ষ পাঁচ দলের মাঝে পয়েন্ট ব্যবধান কেবল ৩। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে এমন প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলছে কেবল স্প্যানিশ লা লিগা। সেখানে বার্সেলোনা শীর্ষে আছে ১৭ ম্যাচ থেকে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৬ পয়েন্ট রিয়াল মাদ্রিদের। লস ব্লাঙ্কোসরা পরের ম্যাচ জিতলেই চলে যাবে সবার ওপরে। আর তিনে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদও নিজেদের পরের ম্যাচ জিতলে চলে যাবে বার্সেলোনার সমান ৩৮ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন
অন্যান্য লিগের মাঝে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল ১ ম্যাচ কম খেলে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছে। লিভারপুলের সামনে সুযোগ থাকছে লিড ৭ পয়েন্টে নিয়ে যাওয়ার। বুন্দেসলিগায় দুইয়ে থাকা আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের চেয়ে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে আছে শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে ফ্রেঞ্চ লিগে মার্শেইর চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি।
জেএ