সাফজয়ীদের এক কোটি টাকা পুরস্কার ও সংবর্ধনা দিলো বিওএ
সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবল দলকে গতকাল (শনিবার) রাতে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। কক্সবাজারের এক হোটেলে চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের আর্থিকভাবে এক কোটি টাকা পুরস্কারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়। কাঠমান্ডু নারী সাফের বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকা ২৩ জন ফুটবলার প্রত্যেকে ৪ লাখ টাকা পেয়েছেন। কোচিং স্টাফ, ম্যানেজার ও কর্মকর্তা পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা করে।
সাফজয়ীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল সহ বিওএ এবং বাফুফের উর্ধতন কর্মকর্তারাও ছিলেন।
চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডে থাকা ফুটবলারদের প্রত্যেকে ৪ লাখ টাকা করে পেলেও, টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ও সেরা গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা পেয়েছেন অতিরিক্ত ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে সাফ চ্যাম্পিয়ন দলকে ১ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার প্রদান করে। কক্সবাজারে অনুষ্ঠান আয়োজন ও ফুটবলারদের যাতায়াতসহ সকল ব্যবস্থাপনা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে।
সন্ধ্যায় চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনার আগে দুপুরে বিওএ’র নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম অলিম্পিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক খেলাধুলা আয়োজন ও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রায় ২০০ একর জমির ওপর এই কমপ্লেক্স নির্মাণ নিয়ে গতকাল আলোচনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার বিগ্রেড স্পোর্টস কমপ্লেক্সের একটি নকশাও স্থাপন করে। বিভিন্ন ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন
২০২৫ সালে ইসলামিক সলিডারিটি, যুব এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের অংশ নেওয়ার কথা। পাশাপাশি বিওএ বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করবে। গেমস আয়োজনের জন্য ৪০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গেমসে অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ ১৮ কোটি টাকা। গেমসে দল পাঠাতে বিওএ’র অনেক অর্থ ব্যয় হয়, ফলে প্রশিক্ষণের বাজেট তুলনামূলক কমই থাকছে।
রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ভবন। ৬ তলা ভবন ১০ তলায় উন্নীতকরণ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার বিগ্রেড প্রাথমিক পরিকল্পনা উপস্থাপন হয়। অর্থনৈতিক সমীক্ষা জরিপের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
এজেড/এএইচএস