১৪৭ বছরে মাত্র চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে রুটের অনন্য নজির
টেস্ট ক্রিকেটের বয়স ১৪৭ বছর। লম্বা পথচলায় টেস্টের ইতিহাস সমৃদ্ধ করার মতো ব্যাটারের অভাব ছিল না কোনোকালেই। আর সেই তালিকায় বর্তমানে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন জো রুট। কোভিড পরবর্তী সময়ে নিজের টেস্ট ক্রিকেট পরিসংখ্যানকে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য এক উচ্চতায়। বাজবল তত্ত্ব আগমনের পর সেটা আরও ধারালো হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টেও নিজের ব্যাটে রানের দেখা পেয়েছেন রুট। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে অপরাজিত আছেন ৭৩ রানে। যা রুটকে নিয়ে গিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম বিরল এক তালিকায়। যেখানে তার সঙ্গী কেবল শচীন টেন্ডুলকার, জ্যাক ক্যালিস ও রিকি পন্টিং।
ওয়েলিংটনের এই ফিফটি ছিল জো রুটের ক্যারিয়ারে ১০০তম পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস। সাদা পোশাকে জো রুটের সেঞ্চুরি ৩৫টি। আর আজ পেয়েছেন ৬৫তম ফিফটি। যা তাকে নিয়ে গিয়েছে শততম পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলার এলিট ক্লাবে। এই তালিকায় ১০৩টি পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস আছে রিকি পন্টিং এবং জ্যাক ক্যালিসের। আর সবার ওপরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার।
প্রায় দুই যুগের লম্বা ক্যারিয়ারে শচীন খেলেছেন ১১৯টি পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস। ৫১টি টেস্ট সেঞ্চুরি তার নামের পাশে, সঙ্গে আছে ৬৮ টেস্ট ফিফটি। পন্টিংয়ের সেঞ্চুরি ৪১ আর ফিফটি ৬২টি। জ্যাক ক্যালিসের সেঞ্চুরি ৪৫টি। আর ফিফটি আছে ৫৮টি। এদের পরেই অবস্থান রুটের।
কাকতালীয়ভাবে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকাতেও শীর্ষ তিনে আছেন শচীন, পন্টিং ও ক্যালিস। এরপরে আছেন রাহুল দ্রাবিড়। আড় ৫ম স্থানে আছেন জো রুট। ইংলিশ এই ব্যাটার যেভাবে ছুটছেন তাতে টেস্ট ক্রিকেটে আরও বেশ কিছু রেকর্ডও হয়ত নিজের ঝুলিতে পুরবেন সামনের দিনগুলোতে।
জেএ