পাকিস্তানকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল জিম্বাবুয়ে
যেন ওয়ানডে সিরিজেরই প্রতিচ্ছবি। যদিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হারটা ছিল সিরিজের শুরুতে, এবার হার দিয়ে তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেছে। তবে রিজওয়ান-সালমানরা ঠিকই সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি নেমেছিল পাকিস্তান। সিকান্দার রাজার দল ম্যাচটি ২ উইকেটে জিতে ধবলধোলাই এড়িয়েছে।
বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১৩২ রান করে পাকিস্তান। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই সিরিজটি তারা খেলতে নামে একেবারে তরুণ দল নিয়ে। সালমান আলি আগার নেতৃত্বের অধ্যায়ও শুরু হয় এই সিরিজে। তার দল আগের দুই ম্যাচ জয়ের পর আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টির শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে। ১৯ রানের মাথায় হারায় তিন টপ-অর্ডারকে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ছোট ছোট ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। অধিনায়ক সালমান আগা খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজের এক ইনিংস (৩২ বলে ৩২)। সেটাই আবার পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচটিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। এ ছাড়া আরাফাত মিনহাস ২২, তৈয়ব তাহির ২১, কাসিম আকরাম ২০ ও আব্বাস আফ্রিদির ১৫ রানে ভর করে পাকিস্তান ১৩২ রান তোলে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এ ছাড়া রিচার্ড এনগারাবা, রায়ান বার্ল, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, তিনোতেন্দা মাপোসা একটি করে উইকেট শিকার করেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তারা ব্যাটারদের কাজ সহজ করে দেন। তারা বাকি কাজ সেরেছেন।
লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য ইনিংসটি মসৃণ ছিল না জিম্বাবুইয়ানদের। তবে ওপেনিং জুটিতে ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি ঝড়ো শুরু এনে দেন। ৩.২ ওভারে ৪০ রানে সেই জুটি ভাঙে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন বেনেট। মাঝে ৭৩ রানের পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা হারের শঙ্কায় পড়ে যায়। তবে শেষদিকে মাপোসা ৪ বলে ১২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া অধিনায়ক রাজা ১৯, মারুমানি ১৫ ও ডিওন মায়ার্স ১৩ রান করেন।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। জাহানদাদ খান ২, সালমান আগা ও সুফিয়ান মুকিম নেন একটি করে উইকেট।
এএইচএস