গঠনতন্ত্র সংস্কারের পথে হাঁটা শুরু বাফুফের
২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক তাবিথ আউয়াল সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাফুফের গঠনতন্ত্র সংস্কার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন। ৯ নভেম্বর নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় গঠনতন্ত্র সংস্কারের জন্য কমিটিও গঠন হয়েছে। সেই কমিটি আজ (বুধবার) প্রথম সভা করেছে।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মহোম্মদ জকোরিয়া বাফুফের গঠনতন্ত্র সংস্কার বিষয়ক কমিটির প্রধান। তিন সদস্যের এই কমিটির মেয়াদ তিন মাস। কমিটি গঠনের তিন সপ্তাহ পর প্রথম সভা হওয়ার কারণ সম্পর্কে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘নির্বাহী কমিটির সভার পর আমরা ফিফা এবং এএফসিকে গঠনতন্ত্র সংস্কারের বিষয়ে অবহিত করি। তাদের গাইডলাইন নিয়েই আমরা পথ চলতে চাই। আজ তারা যৌথসভার দিন ঠিক করেছিল। তাই আজই হয়েছে প্রথম সভা।’
এই সভায় তেমন বিশেষ কিছু আলোচনা হয়নি। বাফুফের গঠনতন্ত্রের সামগ্রিক বিশ্লেষণ, ফিফা-এএফসির কিছু আদর্শ নিরূপণ নিয়েই মূলত ঘণ্টাখানেক কথা হয়েছে। ফিফা-এএফসি বাফুফের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে একটি গাইডলাইন দেবে। সেই আলোকে সুপারিশ/পর্যবেক্ষণ করবে গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটি। নির্বাহী কমিটি, সরকার ও অন্য অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার কাজ সম্পাদন হবে। নির্বাহী কমিটির অনুমোদনের পর তা বার্ষিক সাধারণ সভায় তোলা হবে পাশের জন্য। এজিএমে পাশ হলেই কেবল নতুন গঠনতন্ত্র বা সংস্কার বৈধতা পাবে।
বাংলাদেশের সকল ফেডারেশন জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলা পরিচালনা করে। ২০০৮ সালে বাফুফে ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রীড়া সংস্থা থেকে বেরিয়ে জেলা-বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন করে। এরপর থেকে জেলা ফুটবল অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। সর্বশেষ নির্বাচনে প্রশ্ন উঠেছে, ‘জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ফুটবল নাকি ফেডারেশনের কর্তাদের ভোট ব্যাংক’! তাই সরকারের পক্ষ থেকে এটি পর্যালোচনার একটি তাগিদ রয়েছে বাফুফের প্রতি।
এজেড/এএইচএস