নেই রেফারিজ চেয়ারম্যান, লিগ কমিটি নিয়েও ‘ধূম্রজাল’
আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। লিগের সঙ্গে রেফারিং ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটি বেশ কয়েকটি কমিটি করলেও এখনও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেয়নি। এতে লিগ ও ফেডারেশন কাপে রেফারি বরাদ্দের বিষয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার একটি শঙ্কা থেকেই যায়।
গত ২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন হয়েছে। নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম নির্বাহী সভা হয়েছে ১৩ দিন পর, ৯ নভেম্বর। সেই সভায় স্ট্যান্ডিং ও অ্যাডহক মিলিয়ে ২০টির বেশি কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছিল। এত কমিটি হলেও বাফুফে এখনও কোনো পূণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেনি।
গত মঙ্গলবার বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি প্রকাশ হয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের মিডিয়া গ্রুপে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কমিটির সদস্য মনোনয়ন পাওয়া অনেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন। বসুন্ধরা কিংসের মিডিয়া গ্রুপ থেকে সেই কমিটি অবশ্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে নেয়। পেশাদার লিগ কমিটি বাফুফের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটির একটি, সেটা বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। ফলে পূর্ণাঙ্গ লিগ কমিটির প্রকৃত চিত্র খানিকটা ধূম্রজালের মতোই।
৯ নভেম্বর বাফুফের প্রথম নির্বাহী সভা শেষে গণমাধ্যমে ব্রিফ করেছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম বাবু। সেদিন তিনি বিভিন্ন কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা নিয়ে মিডিয়ায় বলেছিলেন, ‘কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে কমিটি করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।’ বসুন্ধরা কিংসের মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া লিগ কমিটিতে নয়জনের মধ্যে মাত্র দুই জন কাউন্সিলর। সেই দুই জনের একজন আবার ফর্টিজ ক্লাবের সভাপতি। ১০ দলের লিগে এক ক্লাবের সভাপতি কমিটির চেয়ারম্যান, আরেক ক্লাবের সভাপতি সদস্য থাকলে অন্য ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিত্ব অনিশ্চিয়তার মধ্যেই পড়ে।
ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ কমিটি প্রকাশ না করলেও একভাবে ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা গেছে– ছাত্র প্রতিনিধি, ক্রীড়া লেখক, সমর্থক, উন্নয়নকর্মী ও সংগঠক মিলে নানা অঙ্গনের লোক রয়েছেন। অন্য কোনো কমিটির পূর্ণাঙ্গতা এখনও দেখা যায়নি। নির্বাচন হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ হয়নি। ফলে নীতিগত পরিকল্পনা সেভাবে করতে পারেনি কোনো স্ট্যান্ডিং কমিটিই। ফিন্যান্স কমিটি ছাড়া বাকি সব কমিটির মেয়াদ এক বছর। কমিটি পূর্ণাঙ্গ হতেই যদি মাস খানেক সময় লাগে, তাহলে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মূল্যায়নে আর কতটুকু সময় থাকবে!
সাব কমিটির সুপারিশ/প্রস্তাবনা নির্বাহী সভায় আলোচনার ভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা দাঁড়ায়। নতুন কমিটির এক মাস হলেও এখনও সেরকম দৃশ্যমান কোনো পরিকল্পনা বা নীতিমালা দেখা যায়নি। নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল ব্যক্তির ইচ্ছেয় নয় নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা করেই এগোতে চান এটুকুই শুধু স্পষ্ট হয়েছে এই ক’দিনে।
এজেড/এএইচএস