রেকর্ড–শিরোপা ছাপিয়ে আলোচনায় জিমনেশিয়াম
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় নিয়মিত সাফল্য আনেন বাংলাদেশের ভারত্তোলকরা। আগে ভারত্তোলনের জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন হতো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পুরাতন ভবনের জিমনেশিয়ামে। গত দুই-তিন বছর ধরে ভারত্তোলন ফেডারেশনের জিমনেশিয়ামে চলে জাতীয় থেকে শুরু করে প্রায় সকল প্রতিযোগিতা।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের সুইমিংপুলের বিপরীত ভবনের নিচতলায় একপাশে শরীর গঠন ফেডারেশনের জিম, আরেকপাশ বরাদ্দ ভারত্তোলনের জন্য। এক কক্ষের মধ্যে প্রতিযোগী, বিচারক ও দর্শনার্থী সবমিলিয়ে ভজকট পরিস্থিতি। যদিও ভারত্তোলন ফেডারেশন প্রতিযোগিতার সময় পাশে শরীর গঠনের জিমও ব্যবহার করে। এরপরও জায়গা একেবারেই অপ্রতুল।
চলমান সার্ভিসেস জাতীয় প্রতিযোগিতায় পুরুষ-নারী দুই বিভাগ মিলিয়ে ২৩টি রেকর্ড হয়েছে। দুই বিভাগেই সেরা হয়েছে সেনাবাহিনী। আজ প্রতিযোগিতার সমাপনী দিনে রেকর্ড-শিরোপা ছাপিয়ে প্রতিযোগিতার আয়তনের স্বল্পতাই বেশি আলোচনায় এসেছে। ভারত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্ণেল (অব) নজরুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের ভারত্তোলকদের জন্য সুন্দর ও বেশি জায়গা প্রয়োজন। বিষয়টি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয় অবগত। আশা করি তারা আমাদের বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
ভারত্তোলন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি দীর্ঘদিন এই ফেডারশেনের সঙ্গে জড়িত। এক সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দাপুটে কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। ছোট্ট পরিসরে ভারত্তোলন প্রতিযোগিতা আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের প্রতিযোগিতার জায়গা সংকট। এই জায়গায় আয়োজন করা কষ্টকর। এরপরও এটা না হলে অনেক রেকর্ড মিস হতো এবং খেলোয়াড়রা আর্থিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হতো।’
এবারের আসরে নারীদের বিভাগে ১৮ রেকর্ড হলেও পুরুষদের মাত্র পাঁচটি। এর তিনটিই আবার সেনাবাহিনীর জিয়ারুল ইসলামের। এরপরও প্রতিযোগিতার সেরা পুরুষ খেলোয়াড় হয়েছেন একই সংস্থার আশিকুর রহমান তাজ। এর কারণ সম্পর্কে ফেডারশেনের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিনের ব্যাখ্যা, ‘সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার শুধু রেকর্ড নয়, কার ওজন কত এবং কোন শ্রেণীতে কত ওজন তুলল সেই র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে হয়। ফলে রেকর্ড ছাড়াও ভালো পারফরম্যান্সে সেরা হতে পারে।’
নারী বিভাগে সেরা হয়েছেন স্মৃতি আক্তার। ওই বিভাগে সেরা কোচের স্বীকৃতি পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শাহরিয়া সুলতানা। তিনি মূলত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচ। পুরুষ বিভাগে সেরা কোচের স্বীকৃতি পেয়েছেন ২০১০ সালে এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ভারত্তোলক হামিদুল ইসলাম।
এজেড/এএইচএস