স্যামসন-তিলকের জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে জিতল ভারত
ওয়ানডে ও টেস্টে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ভারতের। তবে টি-টোয়েন্টিতে রীতিমতো উড়ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল তারা। ঘরের মাঠে শুরু করা সেই ঝড় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও টেনে এনেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে দুইবার দুইশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছিল তারা। এবার শেষ ম্যাচে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দিয়েছে। সাঞ্জু স্যামসন-তিলক ভার্মাদের ঝড়ে উড়ে গেছে প্রোটিয়ারা! রেকর্ড গড়া জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজটাও নিজেদের ঘরে তুলেছে ভারত।
জোহানেসবার্গে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান সংগ্রহ করে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২০ রান করেছেন তিলক। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্যামসনও। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন শুরুর পর আর ফিরতে পারেনি তারা। চাপেই যেন শেষ হয়ে গেছে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম তিন ওভারে ১০ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটার।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ও ডেভিড মিলার মিলে ৮৬ রান যোগ করে মান রক্ষা করতে পেরেছেন। তবে কতটা পেরেছেন সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে! স্টাবসের ৪৩ আর মিলারের ৩৬ রানের সুবাদে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে দলীয় রান। তবে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার এড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ভারতের দুই ওপেনার। ১৮ বলে ৩৬ রান করে আভিষেক শর্মা ফিরে গেলে ভাঙে ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।
ইনিংসে এরপরের গল্পটা শুধুই স্যামসন-তিলক জুটির। জোহানেসবার্গের চেনা ২২ গজে এদিন প্রোটিয়া বোলাররা বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দুই প্রান্তেই সমানতালে ব্যাট চালিয়েছেন এই দুই ব্যাটার। দুজনেই পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন স্যামসন, একই মাইলফলক ছুঁতে তিলক খেলেছেন মাত্র ৪১ বল।
দুজনের জুটিতেও হয়েছে রেকর্ড। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২১০ রানের জুটি টি–টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ এবং আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ।
এইচজেএস