ভারতের আপত্তিতে বিপাকে আইসিসি, পাকিস্তানে অনুষ্ঠান স্থগিত
পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দোলাচল যেন শেষ হওয়ার নয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে তারা টুর্নামেন্টটি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে দেশটিতে নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানও বাতিল করেছে আইসিসি। সেই অনুষ্ঠানে আকর্ষণীয় এই মেগা ইভেন্টের সূচি নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল।
আগামীকাল সোমবার লাহোরে অনুষ্ঠানটির সময় নির্ধারণ করেছিল আইসিসি। তবে নতুন করে ভারতের খেলতে না যাওয়ার ঘোষণা পেয়ে তারা সেটি বাতিল করেছে। এক কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তিনি জানান, ‘সূচি এখনও চূড়ান্ত নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি নিয়ে আয়োজক ও প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’
পাকিস্তানে ওই অনুষ্ঠানটি হওয়ার মধ্য দিয়ে আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১০০ দিনের কাউন্ট ডাউন শুরু হতো। তবে সূচি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়া এবং ভারতের আপত্তিতে সেই সূচিতে থাকা ভেন্যুও সম্ভবত পরিবর্তন হতে চলেছে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী– আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে ভারতের জন্য শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভেন্যু বা হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টটি গেলে সেই সূচিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে।
আরও পড়ুন
পিসিবির এক সূত্র আগামীকালের অনুষ্ঠান বাতিল নিয়ে ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, ‘এটি কেবলই ট্রফি ট্যুরের যাত্রা কিংবা টুর্নামেন্ট/ব্রান্ডিং লঞ্চ করার উপলক্ষ্য ছিল। সেটি পরবর্তীতে আবারও অনুষ্ঠিত হবে, কারণ এই মুহূর্তে লাহোরের আউটডোর কার্যক্রম চলমান। ওই পরিস্থিতিতে সেখানে ইভেন্ট আয়োজন কঠিন।’
যদিও ওই অনুষ্ঠান বাতিলের আসল কারণ জানানো হয়নি। ক্রিকেট মহল বলছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু মৌখিকভাবে আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে যে, ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার জন্য পাকিস্তানে পাঠানো হবে না, তাই আপাতত বিপাকে পড়েছে আইসিসি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য হাইব্রিড মডেলে পঁচিশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করার একটি প্রসঙ্গও উঠেছে।
এই ঘটনায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি হতাশা প্রকাশ করেছেন। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে পাকিস্তানে ভারতের না যাওয়ার বিষয়ে এখনও পিসিবিকে কিছু জানানো হয়নি। মহসিন নাকভি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। কোনো দেশ যদি পাকিস্তানে দল পাঠাতে না চায়, তাহলে লিখিতভাবে নির্দিষ্ট কারণ আয়োজককেও জানতে হবে। এখন পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা আয়োজন নিয়ে আমাদের সঙ্গে কেউ কোনো কথা বলেনি। আমরা এটা নিয়েও কথা বলতে চাই।’
এএইচএস