জাতিসংঘ মিশন থেকে ফিরে রোমানার বাজিমাত
মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে শনিবার শুরু হয়েছে ম্যাক্স গ্রুপ ৩৩তম জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা। বিকেলে জাতীয় সাঁতারের উদ্বোধন করেন পৃষ্ঠপোষক ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। প্রথম দিনে ৪টি জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। দিন শেষে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁতারু রোমানা। প্রথম দিনেই মেয়েদের ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে রেকর্ড গড়ে জিতেছেন সোনা।
সেনাবাহিনীর চাকরির সুবাদে জাতিসংঘ মিশনে সুদানে গিয়েছিলেন রোমানা। সেখানে জাতিসংঘের নির্দিষ্ট কার্যক্রমে অংশ নিতেন একজন সৈনিক হিসেবে। সেখান থেকে দেড় বছর মিশন শেষ করে দেশে ফেরেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এরপর এবার জাতীয় সাঁতারে অংশ নিয়েই করেছেন বাজিমাত। তাই বেশ খুশি রোমানা, ‘এতটা বিরতির পরও যে আমার পারফরম্যান্স ফিরিয়ে আনতে পেরেছি, এজন্য খুব ভালো লেগেছে। সুদানে যতদিন ছিলাম ওই সময় ট্রেনিংয়ে থাকতে পারতাম না। তবে আমাদের সেনাবাহিনীর যে ফিজিকাল ট্রেনিং, সকালের পিটি, দৌড়, জগিং, হালকা স্ট্রেচিং– এগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি ফিটনেস ধরে রাখার জন্য।’
২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত বয়সভিত্তিক ও জাতীয় সাঁতারে অংশ নেন রোমানা। কিন্তু এবার সোনা জিততে সময় নেন ১ মিনিট ১৮.২৭ সেকেন্ড। ২০২১ সালে এই ইভেন্টে মরিয়ম খাতুন রেকর্ড গড়েছিলেন। তার রেকর্ড ভাঙতে পেরে খুব খুশি রোমানা, ‘আমি যে টাইমিং করেছি এটা ক্যারিয়ারে কখনও হয়নি। ৪ বছর বিরতির পরও এটা করতে পেরে খুশি। আমি নিজের টাইমিং নিয়ে সন্তুষ্ট।’
রোমানাকে ২০০৮ সালে নিকলি থেকে তুলে আনেন কোচ আব্দুল হাশেম। এরপর বিকেএসপিতে ভর্তি হন তিনি। সাঁতারের সুবাদে ২০১৪ সালে প্রথম সেনাবাহিনীর স্থায়ী চাকরি হয়।
রোমানার বাবা নেই। মা বেঁচে আছেন। ৪ বোন ও ৬ ভাইয়ের একান্নবর্তী পরিবারে একমাত্র সরকারি চাকুরীজীবি তিনিই। ভাইয়েরা নিজেদের ব্যবসা করেন।
এজেড/এএইচএস