নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ভারত, আবারও হার মানবে পাকিস্তান?
পাকিস্তানের মাটিতে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট মানেই যেন অবধারিত প্রশ্ন, ‘ভারত খেলতে যাবেতো? সর্বশেষ এশিয়া কাপেও নানা নাটকীয়তার পর শেষ মুহূর্তে ভারতের আপত্তির মুখে হার মানতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। আয়োজক পিসিবি থাকলেও হাইব্রিড মডেলে টিম ইন্ডিয়ার ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।
সব ঠিক থাকলে আগামী বছর পাকিস্তানে আয়োজিত হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আইসিসির মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টটির এখনো সূচি ঘোষণা করা হয়নি। তবে সময় যত ঘনিয়ে আসছে ‘ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের’ মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যকার নাটক তত জমে উঠছে।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে ভারতকে ৭ দিন সময় বেধে দিয়েছিল আইসিসি। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে আইসিসিকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যেতে চায় না ভারত। দেশটির সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী পাকিস্তানে দল না পাঠানোর কথা আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টুর্নামেন্টটিতে খেলতে চায় ভারত। সম্ভাব্য বিকল্প ভেন্যুর নামও প্রস্তাব করেছে তারা। অবশ্য নিজেদের মাটিতে গোটা আসর আয়োজনে এখন পর্যন্ত অনড় পাকিস্তানও। একদিন আগেই নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
ভারতের এমন স্বেচ্ছাচারি দাবি নিয়ে রীতিমতো ক্ষেপেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। একদিন আগেই ভারতের আপত্তি নিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা চাই ক্রিকেটে রাজনীতির মিশ্রণ না ঘটুক। তবে গত দুই মাস ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত জানতে পেরেছি ভারত এবার পাকিস্তানে আসার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তান গত কয়েক বছর ধরে তাদের সাথে ভালো আচরণ করেছে। তবে তারা সবসময় ভালো আচরণ পাবে এ প্রত্যাশাও অমূলক।’
ভারতের এমন সিদ্ধান্তের গুঞ্জন থাকলেও পাকিস্তান সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো চিঠি পায়নি বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। পিসিবি চেয়ারম্যান বলছিলেন, ভারতের যদি নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকে, তবে তাদের লিখিত আকারে জানাতে হবে। পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকার যে সিদ্ধান্ত নেন, আমরা তা মেনে নেবো।
আবারও হাইব্রিড মডেল?
২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। আট দলের অংশগ্রহণে এসব ম্যাচ পাকিস্তানের করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে ভারতের বাগড়ার মুখে যত সময় গড়াচ্ছে ততই হাইব্রিড মডেলের আলোচনা জোরালো হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজন হলে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। দুটি দেশই পাকিস্তানের কাছাকাছি হওয়ায় হাইব্রিড মডেলে ভারতের ম্যাচগুলো এই দুই ভেন্যুর মধ্যে যে কোনো একটিতে আয়োজন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকইনফো।
আগামী সপ্তাহে টুর্নামেন্টের ভেন্যু এবং সূচি প্রকাশের অনুষ্ঠান লাহোরে হওয়ার কথা থাকলেও ভেন্যু সংক্রান্ত জটিলতায় সেসব আপাতত স্থগিত রাখার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে ক্রিকইনফো।
এফআই