জয়ের পরও কোচ বললেন, পরিকল্পনার ২০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বেশ সংকটে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও সমর্থকপুষ্ট ক্লাব ঢাকা আবাহনী। ক্লাবটির ইতিহাসে এবারই প্রথম বিদেশি ফুটবলার ছাড়া দল গঠন করেছে। দেশের ফুটবলে অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক এই সংকটময় মুহুর্তে আবাহনীর দায়িত্ব নিয়েছেন।
অক্টোবরের শুরু থেকে মারুফের আবাহনী যাত্রা শুরু হয়। এক মাস আবাহনীকে অনুশীলন করিয়ে মারুফের পর্যবেক্ষণ, 'এত দিন ফিটনেস নিয়েই কাজ হয়েছে। ফিটনেসের ক্ষেত্রে মনে করি বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছি। এখনো গেম পজিশনে যেতে পারিনি।'
অনুশীলনে গেম পজিশনে যাওয়ার আগেই গতকাল এয়ারফোর্সের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে আবাহনী। সেই ম্যাচে এনামুল গাজী ও জাফর ইকবালের গোলে জিতেছে মারুফের দল। কালকের ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, 'পরিকল্পনার মাত্র ২০ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। সামনের দিনগুলোতে এই হার আরো বাড়াতে হবে।’
১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। সেখানে আবাহনীর রয়েছে ৮ ফুটবলার। ১৬ নভেম্বর মালদ্বীপ ম্যাচের পরই মারুফ পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড আবার পাবেন। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম শুরু হওয়ার কথা। দুই সপ্তাহ গেম পজিশন প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট মনে করছেন এই কোচ, 'মৌসুম মাস খানেক পিছিয়ে যাওয়ায় অনুশীলন ও প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। জাতীয় দলের ম্যাচের পর যে সময় পাব সেটা গেম পজিশন ঠিকের জন্য যথেষ্টই থাকবে।'
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ৬ বার চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। ২০১৮ সালে বসুন্ধরা কিংসে আর্বিভাবের পর আর লিগ শিরোপা পায়নি ক্লাবটি। দেশের সেরা কোচ এমন মুহুর্তে দলটির হাল ধরেছেন যখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেয়ে দল মাঠে থাকাটাই যেন মূখ্য। দ্বিতীয় লেগে বিদেশি চাহিদা ও লিগের প্রত্যাশা সম্পর্কে মারুফের বক্তব্য, 'গেম পজিশনে যাওয়ার পর বলতে পারব দলের প্রকৃত সামর্থ্য এবং কতটুকু প্রত্যাশা করা যায়। টুর্নামেন্ট ও লিগের কয়েকটি ম্যাচের পর বিদেশি খেলোয়াড় সংক্রান্ত চাহিদা দিব।'
ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হতে আরো সপ্তাহ তিনেক। এই সময়ের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে দু’-তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে ঢাকা আবাহনীর।
এজেড/এইচজেএস