ইলেকট্রনিক বোর্ড ছাড়াই শুরু জাতীয় সাঁতার
আন্তর্জাতিক সাঁতার যত এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ যেন সেই অনুপাতে পিছিয়ে চলছে। সময় নির্ভর খেলা সাঁতারের পদক নিষ্পত্তি হয় এখন ন্যানো সেকেন্ডে। অথচ বাংলাদেশ জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা চলছে মান্ধাতার আমলের হ্যান্ড-টাইমিংয়ের ওপর ভর করেই।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম কমপ্লেক্সে বছর পাঁচেক আগে ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড স্থাপন করেছিল। সেই স্কোরবোর্ডে ত্রুটিগত সমস্যা থাকায় কয়েক কোটি টাকার সেই সম্পদ অকেজো। এ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে একাধিক চিঠি দিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি সাঁতার ফেডারেশন। আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সাঁতার উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে স্কোরবোর্ড জটিলতার বিষয়টি এসেছে ঘুরে-ফিরে।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ দেশের বাইরে। কোষাধ্যক্ষ রেজাউল হোসেন বাদশা সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতি ও যুগ্ম সম্পাদক সেলিম মিয়ার দায়িত্বভারের বিষয়টি গঠনতন্ত্র ও নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। সেলিম মিয়া আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মাননীয় উপদেষ্টা সাঁতারের সমস্যার ব্যাপারে অবগত। আমরা আশাবাদী কয়েক মাসের মধ্যে এটি সমাধান হবে।’
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে দেশের অনেক ফেডারেশনেই স্থবিরতা। ক্রিকেট বোর্ড ছাড়া অন্য কোনো ফেডারেশন সিনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করেনি। সাঁতার ফেডারেশন সেদিক থেকে একটু ব্যতিক্রম। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতেও জাতীয় দলের অনুশীলন ও জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি এখনও গঠন না হলেও ফেডারেশনের প্রত্যাশা নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৫ শতাধিক সাঁতারু অংশ নেবে ৩৮ ইভেন্টে।
এই প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক ম্যাক্স গ্রুপ। আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিশেয়নে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের প্রতিনিধি ইব্রাহীম খলিল পলাশ।
এজেড/এএইচএস