আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
সাত মাস পর ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে বাকি দুই ফরম্যাটে পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ায় মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে আছে টিম টাইগার্স। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সম্প্রতি তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে আফগানিস্তান। ফলে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে তারা। দুই দলের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি। তবু ওয়ানডে বলে কথা, বাংলাদেশ যেখানে সবসময় ভালোকিছু প্রত্যাশা করে।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে আজ থেকে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানরা। ফলে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামছে বাংলাদেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় ম্যাচটি শুরু হবে। সিরিজের তিনটি ম্যাচই হবে এই ভেন্যুতে।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ডে। সেই সিরিজের বাংলাদেশ স্কোয়াডে পরিবর্তন হয়েছে আগেই। ফলে একাদশেও পরিবর্তন অনুমিত ছিল।
চোটের কারণে সর্বশেষ ওয়ানডে দলে থাকা তানজিম হাসান সাকিব নেই। অসুস্থতার কারণে নেই লিটন দাস। ফলে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আছেন তানজিদ হাসান তামিম। তিন পেসার (তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম) নিয়ে একাদশ গড়েছে বাংলাদেশ, সঙ্গে আছেন লেগস্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
অন্যদিকে, টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া হাশমতউল্লাহ শহিদীদের একাদশেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা সেদিকউল্লাহ অতলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হচ্ছে এই ম্যাচ দিয়ে। উইকেট-টেকার বোলার রয়েছে তাদের একাদশে। অভিজ্ঞ রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবিদের সঙ্গে স্পিন-বিভাগে আছেন আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার ও নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। পেসার হিসেবে আছেন গুলবাদিন নাইব ও ফজলহক ফারুকি, শক্তি বাড়াচ্ছেন পেস অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ একাদশ : তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তানের একাদশ : রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ অটল, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদী (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার, নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে ও ফজলহক ফারুকি।
এএইচএস