ভারত-পাকিস্তানকে হারাতে হিন্দি-উর্দু শিখছেন অজি ক্রিকেটাররা!
ঘরের মাঠে পরপর দুই সিরিজে দুই এশিয়ান জায়ান্ট ভারত ও পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দেবে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের সঙ্গে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি এবং ভারতের সঙ্গে তারা টেস্ট সংস্করণে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি খেলবে। সাধারণত ক্রিকেটাররা মাঠে সচরাচর কিছু শব্দ ব্যবহার করেন বা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কৌশল সাজান। আর সেটি উদ্ধারে পূর্ব-প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটাররা চর্চা করছেন হিন্দি ও উর্দু!
প্রথমে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। ৪, ৮ ও ১০ নভেম্বর ওয়ানডে ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে মেলবোর্ন, অ্যাডিলেইড ও পার্থে। এরপরই দুই দল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে নামবে। ব্রিসবেন, সিডনি ও হোবার্টে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ম্যাচগুলো হবে ১৪, ১৬ ও ১৮ নভেম্বর। এই সিরিজের জন্য বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে অজিদের মাটিতে।
পাকিস্তান সিরিজ শেষে কয়েকদিন বিরতি দিয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। যা নিয়ে বেশ আগে থেকেই দুপক্ষের কথা চালাচালি চলছে। ২২ নভেম্বর পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। এরপর ৬ ডিসেম্বর অ্যাডিলেইড, ১৪ ডিসেম্বর ব্রিসবেন, ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্ন ও ৩ জানুয়ারি সিডনিতে সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার ক্ষেত্রে দুই দলের জন্যই এ সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে ভারত কিউইদের কাছে সিরিজ হেরে নিজেদের সমীকরণ কঠিন করে তুলেছে।
— Cricket Australia (@CricketAus) November 2, 2024
এদিকে, আসন্ন সিরিজ দুটির জন্য নিজেদের হিন্দি ও উর্দু চর্চাটা ঝালিয়ে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। ভারত-পাকিস্তান যাতে অনায়াসেই তাদের ভাষায় কথা চালাচালি করতে না পারে, সেলক্ষ্যেই এই আয়োজন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দুই অজি তারকা মিচের মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে একটি বোর্ডের সামনে কিছু বহুল ব্যবহৃত শব্দের তালিকা নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। যেখানে হিন্দু ও উর্দু জানা উসমান খাজাও নিজের জ্ঞান ছড়িয়ে দেন অন্যদের। তার সঙ্গে পরে যোগ দেন প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড।
আরও পড়ুন
আলাদা দুটি বোর্ডের একটিতে একপাশে ইংরেজি ও তার হিন্দি ভাষান্তর, আরেকটিতে একই শব্দের ইংরেজি ও উর্দু সংস্করণ লেখা ছিল। সেখানে ‘চালিয়ে যাও’, ‘বাউন্ডারি’, ‘ভালো হচ্ছে’, ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই’, ‘আউট হয়ে যাবে’ — এই জাতীয় বেশ কিছু শব্দের জানাশোনা কতটুকু, সেটি যাছাই করেন কামিন্স-ম্যাক্সওয়েলরা।
ঘরের মাঠের সিরিজ স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে রাখবে অজিদের। তবে তারা ভাষার দিক থেকেও প্রতিপক্ষের কাছ থেকে দূরত্ব কমাতে চায়। শেষ পর্যন্ত তাদের এই প্রচেষ্টা কতটুকু কাজে আসে, সেটা তারা মাঠেই প্রমাণ পাবেন!
এএইচএস