বছর ঘুরে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচ, উধাও ৬০ লাখ বোনাস
১৩ ও ১৬ নভেম্বর কিংস অ্যারেনায় মালদ্বীপের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সে উপলক্ষ্যে আজ থেকে ক্যাম্প ও অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ১৬ জনের আংশিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলেন। সেই তালিকা থেকে আরমান ফয়সাল আকাশ যোগ দেননি। তার পরিবর্তে দলে যুক্ত হবেন অনূর্ধ্ব-২০ দলের ফরোয়ার্ড পিয়াস আহমেদ নোভা।
গত বছর অক্টোবরে এই মালদ্বীপের বিপক্ষে ছিল বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল মালদ্বীপ। তাদের বাধা উতরাতে না পারলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরের ধাপের ছয় ম্যাচ খেলা সম্ভব হতো না। ওই বাছাই না খেলতে পারলে সরাসরি এশিয়ান কাপের বাছাইও খেলা হতো না।
বাংলাদেশ প্রথমে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছিল। সেই ম্যাচ ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। ফিরতি লেগে হোম ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। বাফুফের তৎকালীন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন মালদ্বীপ ম্যাচ জয়ের জন্য ৬০ লাখ টাকা বোনাস ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশ মালদ্বীপকে হারানোর পর বাফুফে জরুরি নির্বাহী সভায় সেই বোনাসের অঙ্ক গৃহীত হয়। কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ ২-১ গোলে জয় পেলেও বোনাস অপরিশোধিতই থেকে গেছে।
এক বছর পার হয়েছে এবং বাফুফের কমিটিও রদবদল হয়েছে। ফলে ওই বোনাস না পাওয়ার শঙ্কা আরও জোরালো হয়েছে। বাফুফের সাবেক সদস্য এবং জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সভাপতির ব্যক্তিগত ঘোষণা পরবর্তীতে ফেডারেশনে আনুষ্ঠানিক সভায় পাশ হয়েছে। এটি অবশ্যই ফেডারেশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বিগত কমিটি পারেনি যথাসময়ে প্রদান করতে। ফলে এখন নতুন কমিটিকে খেলোয়াড়দের প্রতিশ্রুতি পূরণে উদ্যোগ নিতে হবে।’
বাফুফের নতুন কমিটিতে বিগত কমিটির ৮ জন রয়েছেন। নতুন যারা রয়েছেন তাদেরও অনেকে বিষয়টি জ্ঞাত। মালদ্বীপ বধের পুরস্কার ফুটবলাররা আদৌ পান কি না সেটাই দেখার বিষয়।
এজেড/এএইচএস