গোল মিস আর অফসাইডের প্রথমার্ধ শেষে এল-ক্লাসিকোয় সমতা
গোল, অ্যাসিস্ট কিংবা পারফরম্যান্স নয়, মৌসুমের প্রথম এল+ক্লাসিকোর প্রথমার্ধের আলোচনার বিষয় হয়ে থাকছে বার্সেলোনার ট্যাকটিক্স, একাধিক অফসাইড আর রিয়ালের গোল মিসের মহড়া নিয়ে। শুরুর ৪৫ মিনিটে ব্যাপক আক্রমণাত্মক ম্যাচের পরেও তাই ম্যাচের ফলাফল রইল গোলশূন্য।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম ২১ মিনিটেই হতে পারতো গোটা পাঁচেক গোল। তিনটি হয়নি স্ট্রাইকারদের কারণে। বাকিগুলোর জন্য নিজেদের কৃতিত্ব দিতেই পারে বার্সেলোনার রক্ষ্মণভাগ। তাদের নিখুঁত হাই লাইন ডিফেন্সে বারবার আটকেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে প্রথম ৪৫ মিনিটে ৭ বার অফসাইড বাদ দিলেও রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড লাইনের গোল মিস ছিল চোখে পড়ার মতোই। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা বার্সা গোলরক্ষক ইনাকি পেনার বিপক্ষে কিলিয়ান এমবাপে যেমন গোল পাননি। তেমনি সহজ সুযোগ ছেড়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
বার্সেলোনা অবশ্য প্রথমার্ধের বিবেচনায় কিছুটা পিছিয়েই থাকবে। তবু ম্যাচের সেরা সুযোগটাও পেয়েছিল তারাই। ওয়ান-অন-ওয়ানে লামিনে ইয়ামাল বল তুলে দিয়েছিলেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রেই লুনিনের হাতে।
চিরায়ত ধারার বাইরে গিয়ে এদিন বার্সেলোনা খেলেছে হাই লাইন ডিফেন্স রক্ষা করে। সেই ডিফেন্স বারবারই ভাঙতে চেয়েছেন এমবাপে। একটা গোলও পেয়েছিলেন। তবে ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকারের উদযাপন থামতে হয় অফসাইডের সঙ্কেতের পর।
জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের আগমনের পরেই নিজেদের আদি খেলা থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসার চেষ্টায় বার্সেলোনা। ডিফেন্সিভ প্রচেষ্টায় তা সফল হলেও আক্রমণের বিচারে শুরুর ৪৫ মিনিটটায় বেশ পিছিয়েই ছিল কাতালুনিয়ানরা।
সবমিলিয়ে ৮ অফসাইড ছিল মাদ্রিদের। তবে গোলমুখে শট রাখা হয়নি একটিও। বিপরীতে ৫৮ শতাংশ বল পজেশন রেখে আক্রমণের সংখ্যায় কিছুটা এগিয়েই ছিল বার্সেলোনা। যদিও ব্লুগ্রানাদের অন টার্গেটে থাকা দুই শটই ফিরিয়েছেন আন্দ্রেই লুনিন।
জেএ/এমএ