শান্তকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো প্রসঙ্গে যা বলছেন বাশার
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। বাড়তি এই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি ব্যাট হাতে অধারাবাহিক হয়ে পড়েছেন। এর সঙ্গে দলীয় সাফল্যও সেভাবে না পাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে। তাকে এক ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি অধিনায়কদের চাপ কমানোর আহবান জানিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
এ প্রসঙ্গে আজ (শুক্রবার) গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের এই প্রধান। বাশার বলেছেন, ‘শান্ত আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। কিন্তু ওর সেই ব্যাটিংটা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। ওর কাছে দলের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। ও সেভাবেই তৈরি হয়েছে, সেভাবেই পারফর্ম করে আসছিল। অধিনায়কত্ব ওর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে কি না… তিনটা ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করা আসলেই চ্যালেঞ্জিং। অধিনায়ক যেই থাকুক না কেন, তাকে যদি আমরা সবসময় চাপে রাখি, তাহলে তার কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’
কেবল শান্তই নন, অন্য কেউ দায়িত্ব পেলেও একইভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয় বলে মত বাশারের, ‘এখন এটা শান্তর সঙ্গে হয়েছে, পরবর্তীতে যে আসবে তার ক্ষেত্রেও হবে। এটাই মনে হয় আমাদের সংস্কৃতি যে, অধিনায়ক হলেই তাকে আমরা চাপে ফেলে দেই।’ সে কারণে নতুন করে কাউকে নেতৃত্বে আনা হলে তাকে যথেষ্ট সময় দেওয়ার পক্ষে সাবেক এই অধিনায়ক, ‘শান্তকে তো পরিবর্তন করাই যায়। কিন্তু পরিবর্তনের আগে ভাবতে হবে, পরে যে আসবে তার সঙ্গেও আমরা এমন করব কি না। তার সঙ্গেও যদি আমরা এমন করি, তাহলে তো দুইদিন পর আর ক্যাপ্টেন খুঁজে পাবেন না।’
অধিনায়ককে সেভাবে সমর্থন বা সময় না দিলে দলীয় পারফরম্যান্সও ভালো হয় বলে জানান বাশার, ‘কোনো দলের ক্ষতি করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেই দলের অধিনায়কের পেছনে লাগা। ক্যাপ্টেন আনসেটলড হলে দলের সেটলড পারফরম্যান্স করা কঠিন। একজন অধিনায়ককে আমরা বিবেচনা করব দুই বছর পর।’
পরে শান্তকে এক ফরম্যাট থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাবেক এই নির্বাচক বলেন, ‘আমাদের হাতে খুব একটা অপশন আছে সেটাও কিন্তু নয়। সিনিয়ররা সবাই কম-বেশি চলে গেছে। বদল করতে চাইলে সমস্যা নেই। শান্তর জন্য তিনটা ফরম্যাট হয়তো কঠিন হতে পারে। কারণ এখন আমরা প্রচুর ক্রিকেট খেলি। তিনটা ফরম্যাট একজনের জন্য চাপ হয়ে যায়। তার পারফরম্যান্সে চাপ পড়তে পারে। সেই চাপ কমানোর জন্য একটা ফরম্যাটে যদি অন্য কাউকে (অধিনায়কত্ব) দেওয়া যায়, সমস্যা তো দেখি না। তবে অন্য যেই অধিনায়ক হোক, তাকে সহযোগিতা করতে হবে।’
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই হওয়ার পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও হেরেছে। মিরপুর শের-ই বাংলায় ব্যাটিং ব্যর্থতায় তাদের হার এসেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। সেখানে ব্যাট হাতে উভয় ইনিংসেই ব্যর্থ ছিলেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত (৭ ও ২৩)। এই হারে আগে থেকেই শান্ত’র অধিনায়কত্ব নিয়ে চলমান সমালোচনা আরও প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৯ অক্টোবর থেকে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টে নামবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে।
এসএইচ/এএইচএস