মিরপুর টেস্টে এক পেসার কেন, জানালেন হাসান
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের একাদশে রয়েছেন কেবল এক পেসার। এমনকি ব্যাটসম্যান বাড়াতে গিয়ে বোলার নেওয়া হয়েছে কেবল ৪ জন। এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বাংলাদেশ দলে একমাত্র পেসার হাসান মাহমুদ, যিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেটও শিকার করেছেন। পরবর্তীতে কেবল একজন পেসারকে খেলানো নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের মুখোমুখি হন হাসান।
দ্বিতীয় দিন শেষে আজ (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সবার দায়িত্ব একই– উইকেট নেওয়া। সেটা একজন পেসার হোক কিংবা দুইজন। যেহেতু আমাকে নেওয়া হয়েছে, সেহেতু আমার দায়িত্ব হচ্ছে কীভাবে উইকেট টেকিং ডেলিভারি করা যায়। জুটি গড়ে বোলিং করা যায়। আমার কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওটা চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে একটা পেসার খেললে ভালো হতো না দুইটা। এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। আমার মনে হয় তাইজুল (ইসলাম) ভাইও ভালো বল করেছে।’
দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্পিন-পেস জুটি গড়ে রান আটকানোর চেষ্টা ছিল বলেও জানান হাসান, ‘আমি ফিল্ডার অনুযায়ী বল করি। অপরদিক থেকে কেউ যদি মেডেন ওভার নিতে চায়, সেরা বলটাই করতে হবে সবসময়। তো দুজনে কথা বলেই বল করা হয় আসলে, কীভাবে রান আটকানো যায়। বাউন্ডারি না দিয়ে, বাজে বল না করে বল করা যায়। স্পিন একপাশে, পেস একপাশে হলেও সমস্যা নেই। করা যায়। (দুই পাশে পেসার আছে কি না) এ নিয়ে চিন্তা থাকে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ১০৬ রানে ৬ উইকেটে হারানোর পরও টেল-এন্ডার নিয়ে তারা ৩০৮ রান তুলে ফেলে প্রথম ইনিংসে। এটি অবশ্য টেস্টে স্বাভাবিক বলে মনে করেন এই টাইগার পেসার, ‘আসলে টেস্টে এমনটা হয়, অহরহ হতে থাকে, আমরাও দেখি, আমাদেরও বিরক্তি চলে আসে। আমরা তখন চাই রান কম দিতে, বেসিকটা ধরে রাখতে হবে। আপনার চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারকে চাপে রাখার। দুই পাশ থেকে জুটি গড়ে বোলিং করা। এটাই আপনার হাতে আছে। এটাই আরকি!’
মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হওয়ার পর প্রোটিয়ারা ৩০৮ রান নিয়েছে। ফলে প্রথম ইনিংসেই তাদের লিড ২০২ রানের। এ অবস্থায় ব্যাটিং বিপর্যয় কাটাতে না পারলে নিশ্চিত হারের শঙ্কায় স্বাগতিক টাইগাররা। দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০১ রান। বাংলাদেশ এখনও ১০১ রানে পিছিয়ে আছে। ক্রিজে মুশফিকুর রহিম ৩১ এবং মাহমুদুল হাসান জয় অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে।
এসএইচ/এএইচএস