সাফের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ
সাবিনারা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কাঠমান্ডু থেকে দেশে ফিরলেন। ছাদ খোলা বাসে অভ্যর্থনা। চোখের পলকেই কেটে গেল দুই বছর। আগামীকাল আবার সাবিনারা কাঠমান্ডু যাচ্ছেন সাফের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে।
গত দুই বছরে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। আখি খাতুন, সিরাত জাহান স্বপ্নার মতো খেলোয়াড়রা এবার নেই। দুই দলের পার্থক্য সম্পর্কে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, 'আখি এবং স্বপ্নাকে অবশ্যই মিস করব। তবে নতুন যারা আসছে, তারা সেই শুন্যস্থান পূরণের চেষ্টা করবে।' গত সাফের স্কোয়াড থেকে এবার ৯ জন নতুন। এই ৯ জনের মধ্যে অবশ্য আট জনের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সাফে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ তেমন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি। এ নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ রয়েছে সাবিনার, 'কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। এরপরও লক্ষ্য থাকবে নিজের সেরাটা দেয়ার।' সাবিনা একটু রাখঢাক রাখলেও সহকারী অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা সরাসরি শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার অঙ্গীকার করেছেন, 'আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। যেন শিরোপা নিয়ে পুনরায় দেশে ফিরতে পারি।'
বাংলাদেশ দলের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার নিজেদের সক্ষমতার দিকেই বেশি তাকালেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'ফুটবলে অনেক পরিকল্পনা-কৌশল থাকে। কিক অফের পর বাস্তবায়নই আসল কথা। এজন্য প্লান এ – বি থাকতে হয়। অন্য দলের সাফল্য-ব্যর্থতা বিশ্লেষণের চেয়ে আমাদের সক্ষমতা প্রয়োগের দিকে বেশি লক্ষ্য থাকবে।'
বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এই গ্রুপে শীর্ষ দুই দলের মধ্যে থাকলে সেমিফাইনাল খেলবে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল। বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ পরিকল্পনা করতে চান, 'এবারের সাফটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে। ভারতকে গতবার হারিয়েছিলাম। এবার তারা প্রস্তুতি নিয়েই আসবে। টুর্নামেন্টটি সহজ হবে না। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে যাব।' বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য ফাইনাল পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন।
বাংলাদেশ দল :
রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভীন, আফিদা খন্দকার, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র, নীলুফা ইয়াসমিন নীলা, আইরিন খাতুন, কোহাতি কিসকু, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, স্বপ্না রানী, মাতসুশিমা সুমাইয়া, সানজিদা আক্তার, মুনকি আক্তার, ঋতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা, সাবিনা খাতুন, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, কৃষ্ণা রানী সরকার, মোসাম্মৎ ইয়ারজান, মিলি আক্তার, মোসাম্মৎ সাগরিকা।
এজেড/এইচজেএস