টানা তিন ম্যাচেই রোনালদোর গোল, জিতল পর্তুগালও
নেশন্স লিগে টানা জয়রথ অব্যাহত রেখেছে পর্তুগাল। আর তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই দলটির প্রধান তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গোল করেছেন। তার সঙ্গে বার্নার্দো সিলভার গোল মিলিয়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল (শনিবার) ৩-১ গোলে জিতেছে পর্তুগিজরা।
পোল্যান্ডের ওয়ারশতে খেলতে নেমে সবদিক থেকেই দাপট দেখিয়েছে সফরকারী পর্তুগাল। তাদের দখলে বল ছিল ৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া ১৮টি শট নিয়ে ৬টি রাখতে পারে লক্ষ্যে। অন্যদিকে, ১২টি শটের মধ্যে ৪টি লক্ষ্যপথে ছিল পোল্যান্ডের।
ম্যাচের বেশকিছু সুযোগ হাতছাড়া করার পর পর্তুগাল প্রথম লিড নেয় ২৬তম মিনিটে। ব্রুনো ফার্নান্দেজ ম্যাচের আগেই বলেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বাজে ফর্মের ছায়া জাতীয় দলে পড়তে দেবেন না। সেটি অক্ষুণ্ন রেখেই হেড পাস দিয়ে সফলতা এনে দেন এই মিডফিল্ডার। সেই পাস পেয়ে বার্নার্দো সিলভা বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোলটি করেন।
৩৭তম মিনিটে পর্তুগিকদের দ্বিতীয় লিড এনে দিচ্ছিলেন রাফায়েল লেয়াও। একজনের চ্যালেঞ্জ সামলে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, আরেক জনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নেন এই এসি মিলান ফরোয়ার্ড। তার শটটি ফিরে আসে গোলপোস্ট থেকে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রোনালদো সেটি পেয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন। যা নেশন্স লিগের তিন ম্যাচে টানা তৃতীয় গোল। তবে পোলিশদের বিপক্ষে গোল পেলেন ১৭ বছর পর। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ এই গোলদাতার গোল দাঁড়ালো ১৩৩টিতে, আর পেশাদার ফুটবলে ৯০৬।
দ্বিতীয়ার্ধে আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন আল-নাসর তারকা। তবে তিনি নিজে শট না নিয়ে বাড়ান ব্রুনোর কাছে, কিন্তু এই মিডফিল্ডার লক্ষ্যে শট রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর একটু পরই ফের ইউনাইটেড তারকা শট চলে যায় বাইরে দিয়ে। মাঝে গোলের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি বার্সেলোনার পোলিশ তারকা রবার্ট লেভান্ডফস্কি। ম্যাচজুড়েই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি। তবে তাদের হয়ে ৭৮তম মিনিটে ব্যবধান কমান পিওতর জেলেনস্কি। কোনাকুনি শটে তিনি গোলটি করেন।
স্বাগতিক পোল্যান্ডের সেই ব্যবধান কমানোর কাজটাও ভেস্তে যায় ৮৮ মিনিটে নিজেদের ভুলে। প্রতিপক্ষের বল আটকাতে গিয়ে ডিফেন্ডার ইয়ান বেদনারেক নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বসেন। ফলে ৩-১ গোলে জয় নিয়ে রোনালদো-সিলভারা জয় উদযাপনে মাতে। এই জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রাখল পর্তুগাল। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ক্রোয়েশিয়া ও ৩ পয়েন্ট পাওয়া পোলিশদের অবস্থান তিনে।
এএইচএস