অন্যরকম মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক
আগামীকাল বৃৃহস্পতিবার পর্দা উঠতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এটি সরে যায়। নতুন করে ভেন্যু নির্ধারণ হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে। সেখানেই কাল উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
আরব আমিরাতের মাটিতে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল চারটায়। তার আগে আজ বুধবার শেষ সময়ের মতো টাইগ্রেসরা ঝালিয়ে নিয়েছেন নিজেদের। অনুশীলন শেষে আসন্ন এই ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
তিনি বলেন, ‘আমি বলবো যে পুরো দলের জন্য অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে, আমরা যতগুলো বিশ্বকাপ খেলেছি; ২০১৪ ছাড়া বলার মতো তেমন বলার কিছু করতে পারিনি। আমাদের জন্য এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, আমরা চাই যেন এই বিাশ্বকাপটা হিসাবে ও মনে রাখার মতো হয়।’
‘এটা খুবই হতাশাজনক (কোনো জয় না পাওয়া)। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এই দুঃখ এবার ঘোচাতেই চাই। যেন আমাদের এই দুঃখ আর না থাকে। শুরুটা করতে চাই আগামীকালকের ম্যাচ দিয়েই করতে চাই।’-যোগ করেন তিনি।
সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর আত্মবিশ্বাস জ্যোতি কাজে লাগাতে চান মূল ম্যাচে, ‘আমি বলবো যে আমাদের দল যেভাবে খেলে এসেছে, শেষ ওয়ার্ম আপ ম্যাচটা যেভাবে খেলেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সবাই একটা ভালো শেপে দেখেছি। সবার ভেতর যে এনার্জি বা ম্যাচ জেতার যে ক্ষুদা বা বলবো যে প্রত্যেকটা খেলোয়াড় যে একজন আরেকজনকে যেভাবে ব্যাক করেছে মাঠে।’
‘ব্যাটিং ইউনিট অনেক ভালো করেছে, ভালো একটা স্কোর দাঁড় করিয়েছে। বোলাররা অনেক ভালো ব্যাক আপ দিয়েছে। সো ফার সবকিছু মিলিয়ে যদি চিন্তা করি দল একটা ভালো অবস্থায় আছে। আমরা জয়ের জন্যই খেলবো।’-যোগ করেন তিনি।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি হবে জ্যোতির টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শততম। এ ম্যাচকে নিয়ে তিনি বললেন, ‘অন্যরকম অনুভূতি একশতম ম্যাচ খেলার। অনেক বেশি খুশি। অনেক সময় আসলে অবাকও লাগে। মনে হচ্ছিল এই হয়তো ক্যারিয়ার শুরু করেছি। দেখতে দেখতে প্রায় একশটা ম্যাচ হয়ে যাচ্ছে। ওদিক থেকে আমি অনেক আনন্দিত। সব থেকে খুশি হবো যদি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে কোনো অবদান রাখতে পারি সেটা হবে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয়।’
এদিকে জ্যোতির মাইলফল ছোঁয়া ম্যাচ নিয়ে হেড কোচ হাসান তিলকারত্নে বলেন, ‘এটা বড় উপলক্ষ জ্যোতি ও দলের জন্য। সবাই জ্যোতির একশতম ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা আমাদের সবার জন্য বড় উপলক্ষ। যদি ইতিবাচক ফল পাই, ২০ কোটি মানুষের জন্যও সেটিই হবে।’
এসএইচ/এইচজেএস