অশ্বিন-জাদেজার আর ‘১’ উইকেটের অপেক্ষা
এক যুগের বেশি সময় ধরে ভারতের ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনেই স্পিন বোলিংয়ে বিশেষজ্ঞ। সঙ্গে ব্যাট চালানোতেও পারদর্শী। দুজনে মিলে ভারতকে জিতিয়েছেন অনেকগুলো ম্যাচ। যার সবশেষ নজির বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্ট। ১৪৪ রানে ৬ উইকেটের পর থেকে তারাই ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশের হাত থেকে।
তবে জাদেজা ও অশ্বিন দুজনেই ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় পার করেছেন বোলার পরিচয়ে। দুজনের বেশিরভাগ অর্জনও স্পিনিং জাদুতে। ২০১২ সালের পর থেকে দেশের মাটিতে ভারতের টানা ১৮ সিরিজের অপরাজেয় যাত্রার কারিগর হিসেবে দুজনের নাম বললেও খুব একটা বাড়িয়ে বলা হয় না।
নাটকীয় কোন সিদ্ধান্ত না এলে বাংলাদেশের বিপক্ষে কানপুর টেস্টেও দেখা যাবে অশ্বিন-জাদেজা জুটিকে। বোলিংয়ে দুজনের সামনেই আছে মাইলফলক স্পর্শের হাতছানি। আর কাকতালীয়ভাবে দুজনের ভিন্ন ভিন্ন মাইলফলকের জন্য দরকার ১টি করে উইকেট।
জাদেজার জন্য অবশ্য কাজটা সহজ। কানপুরে মাত্র ১ উইকেট পেলেই টেস্ট ক্রিকেটে ১১তম খেলোয়াড় হিসেবে ৩০০ উইকেট এবং ৩ হাজার রানের এলিট ক্লাবে ঢুকবেন এই অলরাউন্ডার। টেস্ট ক্রিকেটে ৭৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে জাদেজা এখন পর্যন্ত করেছেন ৩ হাজার ১২২ রান। আর বল হাতে নিয়েছেন ২৯৯ উইকেট। এই ফরম্যাটে ব্যাট হাতে জাদেজার গড় ৩৬.৭২। আর বল হাতে তার গড় ২৩.৯৮।
অশ্বিনেরও মাইলফলক স্পর্শ করতে দরকার ১ উইকেট। তবে সেজন্য একটা শর্ত থাকছে। ভারত যদি কানপুরে আগে ব্যাট করে এবং বাংলাদেশ যদি চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে, তবেই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারবেন অশ্বিন। আর ১ উইকেট পেলেই টেস্টে ৪র্থ ইনিংসে ১০০ উইকেট হবে তার।
আরও পড়ুন
টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ১০০ উইকেট নিতে পেরেছেন মোটে ৫ জন। সবার ওপরে আছেন শেন ওয়ার্ন। ৪র্থ ইনিংসে তার উইকেট সবচেয়ে বেশি ১৩৮টি। এরপরেই আছেন ন্যাথান লায়ন। তার উইকেট ১১৯টি। তিনে থাকা রঙ্গনা হেরাথের উইকেট ১১৫টি, মুত্তিয়া মুরালিধরনের উইকেট ১০৬টি। আর ৫এ থাকা গ্লেন ম্যাকগ্রার উইকেট ১০৩টি।
জেএ