বাংলাদেশ লিগে সবচেয়ে বড় অঘটন
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আজ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত অপরাজিত ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড। অন্যদিকে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ছিল একমাত্র দল, যারা লিগে এখনো একটি ম্যাচও জেতেনি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে সেই আরামবাগ ৩-১ গোলে শিরোপা প্রত্যাশী শেখ জামালকে হারিয়েছে।
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এটি সবচেয়ে বড় অঘটন। এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস শেখ জামালের চেয়ে ১১ পয়েন্ট লিড পেল। ১৫ ম্যাচে কিংসের পয়েন্ট ৪৩ । সমান ম্যাচে জামালের পয়েন্ট ৩২। আরামবাগ প্রথম জয়ে ব্রাদার্সের সমান পাচ পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে টেবিলের নিচে।
প্রিমিয়ার লিগে প্রথম হারের মুখ দেখল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। লিগের প্রথম পর্বে শেখ জামাল ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল আরামবাগকে। এবার সেই প্রতিশোধই নিল মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি।আগের ১৪ ম্যাচের পাঁচটিতে ড্র ছিল ধানমন্ডির ক্লাবটির। রহমতগঞ্জের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রও ছিল লিগে তাদের অন্যতম বাজে ফল।
আজ ম্যাচ হারলেও ম্যাচের শুরুর চিত্রটা ছিল পুরো ভিন্ন। প্রথমে গোল করে এগিয়েছিল শেখ জামালই। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ের পর থেকে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে দুর্বল আরামবাগ। উড়তে থাকা জামালকে টেনে নিচে নামায় তারা। ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় জামাল। সতীর্থের থ্রোয়ে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ওমর জোবে। সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি (১-০)।
পরের ইতিহাসটা কেবলই আরামবাগের। প্রথমার্ধের শেখ সময়ে দারুণ এক গোলে সমতায় ফেরে তারা। বক্সের প্রায় দশ গজ দূরে ফ্রি কিক পায় আরামবাগ। দূরপাল্লার স্পট কিকে বল গোল করেন উজবেক ফরোয়ার্ড আবদুকাদিরভ (১-১)। ৫৩ মিনিটে আরও একটি গোল করে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আরামবাগ।
বাঁ-প্রান্ত দিয়ে কাজী রাহাদের লম্বা থ্রো কাঁধ দিয়ে ক্লিয়ার করতে যান জামালের মনির আলম। বল পেয়ে যান আরামবাগের ওমর ফারুক। পোস্টের বেশ কাছ থেকে হেড করে জালে জড়ান তিনি (২-১)। চিন্তার ভাজ পড়ে শেখ জামালের কোচ শেখ জামালের কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের কপালে।
৫৬ মিনিটে আরামবাগের আক্রমণ প্রতিহত করতে গোলপোস্ট ছেড়ে সামনে বের হয়ে আসেন জিয়া। ফাঁকা পোস্ট পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগাতে দেরি করেননি নিহাদ জামান উচ্ছ্বাস। শুয়ে পড়ে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন আরামবাগের এই তরুণ ফুটবলার (৩-১)। শেষে এই ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আরামবাগ। ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার শ্রেষ্টত্ব ভেঙে যায় শেখ জামালের।
এজেড/এটি/টিআইএস