বাফুফেতে সালাউদ্দিনের ১৬ বছর : ব্যর্থতা আর বিতর্কের পাল্লা ভারী
কিংবদন্তী ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন ২০০৮ সালে বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন। টানা চার মেয়াদে ফুটবলের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। গতকাল শনিবার তিনি ঘোষণা দেন ‘পঞ্চম মেয়াদে’ নির্বাচন করবেন না। ফলে কাজী সালাউদ্দিন নামের দীর্ঘ এক অধ্যায়ের শেষের শুরু হলো বাংলাদেশের ফুটবলে। জনপ্রিয়তার শিখর থেকে সমালোচিত হয়ে বিদায় নেওয়া-- ১৬ বছরের ‘সালাউদ্দিন নামা’ বিশ্লেষণ করেছেন ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের।
সভাপতি নির্বাচনের নেপথ্যে
১৯৮৪ সালে ফুটবলার হিসেবে অবসর নেন কাজী সালাউদ্দিন। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন কোচিংয়ে। আবাহনী, জাতীয় দল, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রে কোচিং করিয়েছেন। এর পরের দশ বছর ফুটবল থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিলেন। ২০০৩ সালে বাফুফে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হন। আমিরুল ইসলাম বাবুকে জাতীয় দলের ম্যানেজার বানানো নিয়ে তৎকালীন সভাপতি এসএ সুলতানের সঙ্গে মনোমালিন্যের পর সহ-সভাপতি থেকে পদত্যাগ করেন সালাউদ্দিন।
ফেডারেশনে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে সভাপতি হওয়ার বিকল্প নেই। সেই উপলব্ধি থেকে সালাউদ্দিন ২০০৮ সালে সভাপতি পদে নির্বাচন করেন। ২০০৬-০৭ সালের দিকে ফুটবলাররা দলবদলের জন্য আন্দোলন মঞ্চ করেছিল। ফুটবলের সেই দুরবস্থা থেকে উত্তরণে তিনি সর্বোচ্চ পদে নির্বাচনে আগ্রহী হন।
আরও পড়ুন
প্রথম মেয়াদেই চমক
ফুটবল তো বটেই বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ কাজী সালাউদ্দিন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন। চেয়ারে বসে বেশ চমক দেখাতে শুরু করেন তিনি। পৃষ্ঠপোষকতার সংকটে থাকা ফুটবলে তিনি সিটিসেলকে এনেছিলেন স্পন্সর হিসেবে। ২০০৯ সালে কোটি টাকার টুর্নামেন্ট সুপার কাপে ফুটবলপ্রেমীদের ঢল নেমেছিল। দুই বছর পর আর্জেন্টিনা ঢাকায় এসে নাইজেরিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে। ২০০৮-১২ প্রথম মেয়াদে সালাউদ্দিনের সেই অর্থে সমালোচনা হয়নি। বরং বেশ কিছু চমকই দেখিয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের ব্যর্থতা-পাইপলাইন শূন্য
কাজী সালাউদ্দিন জাতীয় দলে অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন। দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন, বিদেশে ক্যাম্প, বিদেশি কোচ সবই দিয়েছেন। বিপরীতে সেই অর্থে জাতীয় দল তেমন কোনো সফলতা এনে দিতে পারেনি। ২০০৯ ও ২০২৩ সালের সাফে সেমিফাইনাল খেলাই সর্বোচ্চ অর্জন সালাউদ্দিনের আমলে। ২০১০ এসএ গেমসে স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ। এসএ গেমস মূলত অলিম্পিক দল (অনূর্ধ্ব- ২৩ ও তিন জন সিনিয়র)। এরপর অবশ্য বাংলাদেশ আর এসএ গেমসের ফাইনালেও উঠতে পারেনি।
জাতীয় দল এক যুগের বেশি সময় ধরে ব্যর্থ। খেলোয়াড়দের মানগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেটি উত্তরণে বাফুফে সেভাবে কাজ করেনি। বাংলাদেশের ফুটবলে একাডেমি ছিল না দীর্ঘদিন। একটি আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ একাডেমির প্রতিশ্রুতি দিয়েও সালাউদ্দিন সেটি পূরণ করতে পারেননি। কয়েক দফা একাডেমি উদ্বোধন করে কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে। সর্বশেষ কমলাপুর একাডেমিতে গত দুই বছর ৪০-৫০ জন ফুটবলার নিয়মিত আবাসিক ক্যাম্প করছে। সেটাকেই বাফুফে নাম দিয়েছে এলিট একাডেমি।
অথচ কিরণ নির্বাহী সদস্য হওয়ার আগেই বাফুফে ভবনের তৃতীয় তলায় আলাদা একটি কক্ষ পেয়েছিলেন। বাফুফেতে অনেক সিনিয়র ও যোগ্য সংগঠক থাকা সত্ত্বেও কিরণকে দিয়ে সালাউদ্দিন ফিফা-এএফসির প্রতিনিধিত্ব করিয়েছেন। বাফুফের আভ্যন্তরীণ অনেক বিষয়ে কিরণের মতামত অত্যন্ত গুরুত্ব পেত, কারণ তিনি সভাপতির সবচেয়ে আস্থাভাজন হিসেবে স্বীকৃত।
বন্ধু তুমি, শত্রু তুমি!
কাজী সালাউদ্দিনের বাফুফে সভাপতিত্বের ১৬ বছরে সম্পর্কের রূপ বদল হয়েছে অনেকের সঙ্গে। তার অনেক বন্ধু সময়ে হয়ে গেছেন শত্রু। ফুটবলের পরিবেশও খানিকটা নষ্ট হয়েছে মাঝে মধ্যে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিনের সবচেয়ে আস্থাভাজন ছিলেন সাবেক ফুটবলার গোলাম রব্বানী হেলাল। চার বছর পর সেই হেলালের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘটে। ২০১২ সালের নির্বাচনে সালাউদ্দিন আলাদা প্যানেল দেন আর হেলাল স্বতন্ত্র থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করেন।
২০১২ সালের নির্বাচনে সালাউদ্দিনের পক্ষে ছিলেন তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মঞ্জুর কাদের। ২০১০ সালে কাদেরের গড়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ দেন সালাউদ্দিন। ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে না থেকেও ২০১০- ২০১৫ পর্যন্ত ফুটবলে অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন মঞ্জুর কাদের। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছায় লিগের ফিকশ্চার, ফরম্যাট, বিদেশির সংখ্যাসহ অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। সবই সম্ভব হয়েছে সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে সেই মঞ্জুর কাদেরই ছিলেন সালাউদ্দিনের ঘোর বিরোধী। ক্রীড়াঙ্গনে অচেনা কামরুল আশরাফ পোটনকে সভাপতি প্রার্থী করেছিলেন কাদের। সালাউদ্দিনের বিপক্ষে প্যানেল দিয়েছিলেন কাদেরই। শুধু প্যানেল দেয়াই নয় সালাউদ্দিনকে নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্যও করেছিলেন তিনি ঐ নির্বাচনের আগে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে সালাউদ্দিনের প্যানেলে প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন। তরফদারের প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক ফুটবলের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ৩-৪ বছর। সালাউদ্দিনের অতি ঘনিষ্ঠ সেই তরফদার ২০২০ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য নির্বাচন করতে পারেননি তিনি।
২০২০ সালের নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ে সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক। এই ব্যবসায়ীকে সালাউদ্দিন সর্বশেষ নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী করেছিলেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত খুব সখ্যতা ছিল। এরপর অবশ্য সম্পর্কের সেই দৃঢ়তা কমতে থাকে।
ফিফার শাস্তি
কাজী সালাউদ্দিনের মেয়াদে আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। শেষ পর্যন্ত ফিফা বাফুফের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তদন্ত করে শাস্তিও দিয়েছে। বাফুফের পদত্যাগ করা সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে আর্থিক জরিমানা ও সতর্ক করেছে ফিফা। পাশাপাশি বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন, অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানকে নিষিদ্ধ করেছে তারা। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে বাফুফের আর্থিক অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রতিবেদন হলেও সালাউদ্দিন সেটা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত না করে উল্টো মিডিয়াকে শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কখনো কখনো।
কেবল ফিফা থেকে পাওয়া অর্থ নয়, সরকারি অর্থের হিসাব নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে সরকার ১০ কোটি টাকা স্থায়ী আমানতের নির্দেশনা দিলেও বাফুফে সেটা করেনি। পাশাপাশি আরো ১০ কোটি টাকার হিসাবও সঠিকভাবে দিতে পারেনি ফেডারেশন।
সোহাগ, কিরণ, পল স্মলি নির্ভরতা
বাফুফেতে আগে সাধারণ সম্পাদক পদ ছিল নির্বাচিত। ২০০৯ সাল থেকে পেশাদার সাধারণ সম্পাদকের চল সৃষ্টি হয়। সাবেক ক্রীড়া সাংবাদিক আল মুসাব্বির সাদী পামেল বাফুফের প্রথম পেশাদার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন আবু নাইম সোহাগ। সময়ের পরিক্রমায় সোহাগ সাধারণ সম্পাদক হন ২০১৩ সালে। কাজী সালাউদ্দিনের তৃতীয় মেয়াদে সোহাগ ফেডারেশনে অনেক প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। নির্বাহী কমিটিকে তিনি কোনো তোয়াক্কা করতেন না। এ নিয়ে কমিটির অনেকে অনুযোগ করলেও সেটা আমলে নিতেন না সালাউদ্দিন।
দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন, বিদেশে ক্যাম্প, বিদেশি কোচ সবই দিয়েছেন। বিপরীতে সেই অর্থে জাতীয় দল তেমন কোনো সফলতা এনে দিতে পারেনি। ২০০৯ ও ২০২৩ সালের সাফে সেমিফাইনাল খেলাই সর্বোচ্চ অর্জন সালাউদ্দিনের আমলে।
কাজী সালাউদ্দিনের কমিটিতে নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণের প্রবেশ ২০১৬ সালে। নির্বাহী কমিটির সদস্যদের আলাদা কোনো অফিস কক্ষ নেই ফেডারেশনে। অথচ কিরণ নির্বাহী সদস্য হওয়ার আগেই বাফুফে ভবনের তৃতীয় তলায় আলাদা কক্ষ পেয়েছিলেন। বাফুফেতে অনেক সিনিয়র ও যোগ্য সংগঠক থাকা সত্ত্বেও কিরণকে দিয়ে সালাউদ্দিন ফিফা-এএফসির প্রতিনিধিত্ব করিয়েছেন। বাফুফের অভ্যন্তরীণ অনেক বিষয়ে কিরণের মতামত অত্যন্ত গুরুত্ব পেত। কারণ তিনি সভাপতির সবচেয়ে আস্থাভাজন হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। সর্বশেষ এজিএমে নারী লিগের শীর্ষ চার দলের কাউন্সিলরশিপ ইস্যুতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে বাফুফে।
বাফুফের সাবেক টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিও অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। মোটা অঙ্কের বেতন নিতেন কিন্তু বাফুফের কাউকে তেমন পাত্তা দিতেন না। পল স্মলির মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়ন নিয়ে অনেকে সন্দিহান থাকলেও সালাউদ্দিন তার প্রতি অন্ধ ছিলেন।
নারী ফুটবলই রক্ষাকবচ
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ১৬ বছরে একমাত্র রক্ষাকবচ ছিল নারী ফুটবল। পুরুষ ফুটবলে ব্যর্থতা, নতুন খেলোয়াড় উঠে না আসা- এসবের ভিড়ে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল নারী ফুটবল। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে এশিয়ার শীর্ষ আটের মধ্যে জায়গা করে নেয়ায় এশিয়া জুড়েই আলোচনা হয় বাংলাদেশ নিয়ে। বাফুফে ২০১৬ সাল থেকে নারী ফুটবল নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন চালিয়ে আসছে। এর ফলও পেয়েছে। জুনিয়র পর্যায়ে নানা ট্রফি ছাড়াও ২০২২ সালে সিনিয়র পর্যায়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নারী ফুটবল দল।
জেলা ফুটবল একেবারে উপেক্ষিত
কাজী সালাউদ্দিনের ১৬ বছরে সবচেয়ে উপেক্ষিত ছিল জেলা ফুটবল। এদিকে তার কোনো মনোযোগই সেভাবে ছিল না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন গঠন নিয়ে সমালোচনা এখনো চলছে। সালাউদ্দিন সভাপতি হওয়ার আগে এটি গঠিত হয়েছিল। ২০১৬ নির্বাচনের আগে তৎকালীন সহ-সভাপতি বাদল রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং ডিএফএ পুনগঠনের জন্য ফিফায় পাঠিয়েছিলেন সালাউদ্দিন।
ফিফায় গেলেও ডিএফএ কাঠামোর পরিবর্তন হয়নি। বাফুফেও ডিএফএ নিয়ে তেমন ভাবেনি। বাফুফের বাজেটে ডিএফএর জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ ছিল না। ফলে জেলা পর্যায়ে ফুটবল একেবারে স্থবির ছিল। যতটুকু হয়েছে ততটুকু স্ব স্ব জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায়।
নির্বাহী কমিটি ছাপিয়ে সভাপতির কর্তৃত্ব
বাফুফের গঠনতন্ত্রে মূল ক্ষমতা নির্বাহী কমিটির উপর অর্পিত। তবে সালাউদ্দিনের আমলে ১৬ বছরে নির্বাহী কমিটির চেয়ে সভাপতির কর্তৃত্বই বেশি ছিল। বিশেষ করে তৃতীয় ও চতুর্থ মেয়াদে নির্বাহী কমিটি বা সংশ্লিষ্ট কমিটির চেয়ে সভাপতির ক্ষমতা-চর্চা ছিল অতি মাত্রায়। সভাপতি তার ইচ্ছ-অনিচ্ছার ভিত্তিতে স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন ও পুনগঠন করেছেন।
গত বছর নারী অলিম্পিক বাছাইয়ে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তও একেবারেই তার। নির্বাহী কমিটি তো বটেই, মহিলা কমিটিতেও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণের বিষয়টিও নির্বাহী কমিটির সভায় না উঠিয়ে সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন। এরকম আরো অনেক ঘটনাই ঘটেছে সালাউদ্দিনের সময়ে।
এজেড/জেএ