পাকিস্তানেই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি : আইসিসির সিইও
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যদিও সেখানেই মেগা টুর্নামেন্টটি হবে কি না তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল, তার কারণ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের আপত্তি। যদিও এখন পর্যন্ত দেশটি পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে এরই মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্থানান্তর হবে না বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী গফ অ্যালারডাইস।
দুবাইয়ে গতকাল (বুধবার) নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ব্রিফিং করে আইসিসি। সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে অ্যালারডাইসের মন্তব্য উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর পাকিস্তান থেকে স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই। আইসিসি পাকিস্তানসহ সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সফল টুর্নামেন্ট আয়োজনে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। অতীতে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও, প্রতিযোগী সকল দেশ পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে বলা হচ্ছে ‘মিনি ওয়ার্ল্ড কাপ’ নামে। যেখানে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চূড়ান্ত আটে থাকা দলগুলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে যাচ্ছে। স্বাগতিক পাকিস্তান বাদে বাকি দেশগুলো হচ্ছে– বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টটি খেলতে পারবে না শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
— Press Trust of India (@PTI_News) September 12, 2024
পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যু করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে আট দলের এই টুর্নামেন্ট। এজন্য ইতোমধ্যে খসড়া সূচিও তৈরি করে আইসিসির অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে আয়োজক দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী– নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের সব ম্যাচই হবে লাহোরে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পাকিস্তানের সামর্থ্য সম্পর্কে আইসিসি কর্মকর্তা অ্যালারডাইস বলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পাকিস্তানের সক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাড়াতে দেশটিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন
আসন্ন টুর্নামেন্টটির জন্য ইতোমধ্যে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের মাঝপথে রয়েছে পাকিস্তান। এ কাজে পিসিবি ১২.৮০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ সব ভেন্যু খেলা আয়োজনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন পিসিবি সভাপতি। এর আগে সবশেষ ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের আইসিসি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এশিয়া কাপ হয়েছিল ২০০৮ সালে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সফলভাবে আয়োজনে বহুল প্রতীক্ষায় রয়েছে দেশটি। টুর্নামেন্টটির শেষ আসরে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল।
এদিকে, নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর বসার কথা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বিবেচনায় মেগা আসরটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটির দুই ভেন্যু দুবাই ও শারজাহতে আগামী ৩–২০ অক্টোবর নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে।
এএইচএস