কাবাডি ফেডারেশনের সেক্রেটারি হাবিবকে অপসারণ
জাতীয় খেলা কাবাডি। সেই কাবাডি ফেডারেশনে গত কয়েক বছর ছিল পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রাধান্য। কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ক্ষমতাবলে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করেছে।
১ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম এক অফিস আদেশে হাবিবুর রহমানের অপসারণ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। সেই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করা হলো।
পুলিশ কর্মকর্তা হলেও হাবিবুর রহমান শুধু কাবাডি ফেডারেশনেই ছিলেন না দেশের অন্যতম ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিশেয়নেরও সদস্য। ঐ পদ থেকে তিনি এখনো পদত্যাগ করেননি বা অপসারিত হননি।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তাদের অনুমোদিত ক্রীড়া সংস্থা/ফেডারেশন ভেঙে দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে। ১৯৭৪ সালের অ্যাক্টে সেই ধারা ছিল ২০ এর ক আর সংশোধিত ২০১৮ অ্যাক্টে সেটা ২১ ধারা। সেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রয়োজনে বিদ্যমান কমিটি ভেঙে অ্যাডহক কমিটি করার এখতিয়ার রয়েছে। সাধারণত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইনী জটিলতা এড়াতে নির্বাচিত কমিটি ভেঙে অ্যাডহক কমিটি খুব বেশি গঠন করে না।
হাবিবুর রহমানকে অপসারণ চিঠিতে অফিস আদেশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইনের সুনির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করেনি। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ সালের ২৪ ধারা অনুযায়ী এই আদেশ কার্যকর হিসেবে গণ্য হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে সরকার, সময় সময়,পরিষদের কর্মকান্ড দক্ষ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে যেইরুপ পদক্ষেপ গ্রহণ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরুপ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিষদকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে এবং পরিষদ প্রতিপালন করিতে বাধ্য থাকিবে।'
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে জাতীয় খেলা কাবাডির ফেডারেশন খুব সংকটে। কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেলও বেশ বিতর্কিত অবস্থানে। তাকে নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এখনো কোনো অফিস আদেশ দেয়নি।
এজেড/এফআই