ম্যাচ জেতানোর পরেই বড় দুঃসংবাদ শোনালেন লিভারপুলের সালাহ
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে খেলা, তবুও ম্যাচের একেবারে শেষদিকে শোনা গেল মোহাম্মদ সালাহর নামে গান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে গোল করাকে যেন সহজাত অভ্যাসেই রূপ দিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই রাইট উইঙ্গার। ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচে সালাহর গোল ১০টি। প্রিমিয়ার লিগ যুগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে অন্য কোনো খেলোয়াড়ের গোলসংখ্যা দুই অঙ্ক ছোঁয়নি।
গতকাল শনিবারও ছিল সালাহ-শো। ৩৫ মিনিটে এবং ৪২ মিনিটে লুইস দিয়াজকে দিয়ে গোল করিয়েছেন। ৫৬ মিনিটে নিজেই করেছেন গোল। ৩-০ গোলের জয়ে সবখানেই ছিলেন সালাহ। তবে ম্যাচ জেতানোর পরেই দলের ভক্তদের দুঃসংবাদ শোনালেন এই মিসরীয়। জানালেন, এই মৌসুমেই লিভারপুলে তার শেষ।
৩২ বছর বয়সী সালাহর সঙ্গে লিভারপুলের চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে এ মৌসুম শেষেই। সেই মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা এখনো হয়নি লিভারপুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। গেল মৌসুমেই এই তারকাকে দলে নিতে উঠেপড়ে লেগেছিল সৌদি লিগের ক্লাবগুলো। সালাহ অবশ্য থেকে গিয়েছেন অ্যানফিল্ডের ক্লাবেই।
পরের মৌসুমে কোথায় যাবেন তা অবশ্য এখনো জানাননি সালাহ। আপাতত এই মৌসুমটা উপভোগ করতে চান তিনি ‘আমি সময়টা উপভোগ করতে চাইছি। এ (লিভারপুল ছাড়া) নিয়ে ভাবতে চাচ্ছি না। দেখি আগামী বছর কী হয়।’
ওল্ড ট্রাফোর্ডে টানা সাত ম্যাচ গোল করে সালাহ বললেন, ‘সত্যি বলছি এটাই হয়তো ওল্ড ট্রাফোর্ডে আমার শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে ধরেই খেলতে নেমেছি। ক্লাবের কেউ চুক্তি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এটা তো আমার বিষয় নয়, ক্লাবের বিষয় এটি।’ তবে সবকিছুর পর ইতিবাচক থাকার কথাই বললেন তিনি, ‘গ্রীষ্মটা ভালোই কেটেছে, যেহেতু ক্লাবে আমার এটাই শেষ বছর তাই চেষ্টা করব বাকিটা সময়ও ইতিবাচক থাকার’।
২০২২ সালে বার্ষিক প্রায় ২.৪ কোটি ডলারে লিভারপুলের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেন সালাহ। ২০২০ সালে প্রিমিয়ার লিগ যুগে লিভারপুলকে প্রথম লিগ শিরোপা এনে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। ২০১৭ সালে রোমা থেকে যোগ দেয়ার পর লিভারপুলকে দিয়েছেন মনে রাখার মতো অজস্র স্মৃতি।
লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ২১৪ গোল করা সালাহ ক্লাবের ইতিহাসেই অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বনে গিয়েছেন। অলরেডদের ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলদাতা এই ফরোয়ার্ড। দুই কিংবদন্তি ইয়ান রাশের (৩৩৯ গোল) এবং রজার হান্টের (২৬২ গোল) ছাড়াও সালাহর সামনে আছেন গর্ডন হজসন (২৪১ গোল) এবং বিলি লিডল (২২৮ গোল)।
জেএ