ফলো-অন এড়াতে কত দরকার বাংলাদেশের?
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ২৭৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩০ পেরুনোর আগেই প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ২০ রানের মাঝে ৪ উইকেটের পতন। ২৬ রানেই চলে যায় ৬ উইকেট।
শঙ্কা ছিল নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের। লিটন কুমার দাস এবং মেহেদি হাসান মিরাজ সেই লজ্জা পার করেছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৪৯ রান। এর আগে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৪৩। ২০১৮ সালে ক্যারিবিয়ানদের মাটিতে ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা। মিরাজের বাউন্ডারির সুবাদে সেই লজ্জার স্কোর পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।
তবে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা এড়িয়ে গেলেও বাংলাদেশের সামনে এখন ফলো-অন এড়ানোর লক্ষ্য। পাকিস্তানের ২৭৪ রানের বিপরীতে ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ১২৫ রান। যার অর্থ টাইগার ব্যাটিং লাইনআপকে করতে হবে আরও ৭৮ রান। মিরাজ-লিটনদের সামনে এখন সেটাই অনেক বড় কিছু।
আগেরদিন শেষ বিকেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছিল ১০ রান। আজ তার সঙ্গে কেবল ৪ রান যোগ হতেই ফিরলেন ওপেনার জাকির হাসান। আগে একবার লাইফ পেলেও সেটি তিনি কাজে লাগাতে পারলেন না। অধিনায়ন নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কথা, তখন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও ফিরলেন পেছন দিয়ে স্টাম্প হারিয়ে। দুজনকে হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই বোল্ড টাইগার অধিনায়ক শান্তও। তিনজনই উইকেট দিয়েছেন পাক পেসার খুররম শেহজাদকে।
বিপর্যয়ের আরও বাকি, চার নম্বরে নামা মুমিনুল হক কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্যাচ দিয়েছেন মির হামজার বলে। ফুল লেংথে ফেলা সেই ডেলিভারিতে ফ্লিক শট খেলতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু মিড অনে সেটি ধরা পড়েছে মোহাম্মদ আলির হাতে। মুমিনুল ফিরলেন মাত্র ১ রানে। এ নিয়ে ১৪-২০ রানের ভেতরই ৪ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।
মির হামজার করা ব্যাক অব লেংথের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক। সাকিব আল হাসান এদিন আবারও ব্যাট হাতে দেখলেন ব্যর্থতা। ১০ বলে ২ রান করে সাকিব আউট হয়েছেন খুররমের বলে। খুররম নিয়েছেন ৪ উইকেট, মীর হামজা নিয়েছেন ২ উইকেট।
জেএ