জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে ছিলাম, ছুরিকাহত হয়ে ইয়ামালের বাবা
সবচেয়ে কম বয়সে ইউরোতে গোলের রেকর্ডের পর স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন বানাতেও অনন্য অবদান ছিল লামিনে ইয়ামালের। তিনি যখন এই স্বপ্নসম সময়ে আছেন, সেই পরিস্থিতিতে ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার বাবা মুনির নাসরাউয়িকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ওই সময়ে তিনি জীবন-মৃত্যুর ঠিক মাঝখানে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছেন।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘লা ভ্যানগার্দিয়া’ জানিয়েছে, কাতালুনিয়ার মাতারো অঞ্চলে নিজের পোষা কুকুরকে নিয়ে গাড়ি পার্ক করার জায়গায় হাঁটছিলেন ইয়ামালের বাবা মুনির নাসরাউয়ি। সেখানে কিছু লোকের সঙ্গে তার আলাপ হয়। তারই একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হয় তাদের মাঝে। এরপর লোকগুলো ফিরে এসে তাকে আক্রমণ করে এবং একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে ফেলে চলে যায়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সন্দেহের তালিকায় আছেন আরেকজন।
ছেলে ইয়ামালের ক্লাব বার্সেলোনার পক্ষ থেকে তার চিকিৎসায় জোর দেওয়া হচ্ছে। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির এক কর্মকর্তা ইয়ামালের বাবাকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পর জানিয়েছিলেন, ‘সৌভাগ্যবশত তার (মুনির) এক বন্ধু সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন, অন্যথায় তারা তাকে মেরে ফেলত।’
আরও পড়ুন
ওই সময়ে ঠিক কী ঘটেছিল সেটি আরেকটি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল চিরিঙ্গাতো’কে জানিয়েছেন মুনির। তিনি বলেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ তারা আমাকে ওয়ার্ডে নিয়ে এসেছে এবং এখন কিছুটা ভালো বোধ করছি। সবার (আমি ও আমার পরিবার) মঙ্গলের জন্য আমাদের শান্ত থাকতে হবে। এ ছাড়া আমার কোনো হাতে সুযোগও নেই, আমাদের বুঝতে হবে ন্যায়বিচার হবে এই ঘটনায়। এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছুরই সমাধান আছে। অবশ্যই আমি তখন ভয় পেয়েছিলাম, আমি নিজেকে জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দেখেছি। অন্য সাধারণ মানুষের মতোই ভীত ছিলাম।’
ইয়ামালও পরে তার বাবাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে উপস্থিত হয়ে খোঁজ নিয়েছেন বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাও। এই মুহূর্তে নাসরাউয়ির অবস্থা স্থিতিশীল বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। ছুরিকাঘাত করার সময় তার বুক ও পাঁজরে ঘুষিও মেরেছিল হামলাকারীরা। পরবর্তীতে শুক্রবার চারজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এর আগে ফোর্বস এবং বি-ইন স্পোর্টসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আহত হওয়ার পর মুনির নিজেই স্থানীয় হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। ওই সময় তার অবস্থা গুরুতর বলে জানান চিকিৎসকরা। তবে প্রাণের সংশয় নেই। এ ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে কাতালান আঞ্চলিক পুলিশ।
এএইচএস