শেষ সেকেন্ডে সোনা জয় করে অলিম্পিকের শ্রেষ্ঠত্ব পেল যুক্তরাষ্ট্র
অলিম্পিকের পদকের লড়াই মানেই যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রতিবারই পদক তালিকার শীর্ষে থাকে এই দুই নাম। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছিল চীন। গেল আসরে এক স্বর্ণের ব্যবধানে নিজেদের পদক তালিকার সবার ওপরে রেখেছিল আটলান্টিক পাড়ের দেশটি। এবারে অবশ্য দেখা গেল অন্য নাটকীয়তা।
প্যারিস অলিম্পিকের শেষ ইভেন্ট ছিল নারীদের বাস্কেটবল। অলিম্পিক বাস্কেটবল মানেই যেন যুক্তরাষ্ট্রের সোনা জয়। ছেলেদের বিভাগে লেব্রন জেমস, স্টেফ কারিরা আগেই সোনা নিশ্চিত করেছেন। কাল ছিল নারীদের ইভেন্ট। আগের ৭ বারের চ্যাম্পিয়নরা ফেবারিট হয়েই নেমেছিল কোর্টে। তবে এই ম্যাচে ফ্রান্সের মেয়েরা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া পরীক্ষা।
ম্যাচের একেবারে শেষ সেকেন্ডে ফ্রান্সের গ্যাবি উইলিয়ামস আরেকটি থ্রি–পয়েন্টার মেরে সমতা ফিরিয়েছেন। কিন্তু বল ছোড়ার সময় উইলিয়ামস থ্রি–পয়েন্ট লাইনের একটু ভেতরে ঢুকে যান। খালি চোখেও ৩ পয়েন্ট মনে হলেও, রিপ্লে থেকে জানা যায় ২ পয়েন্ট পাচ্ছে ফ্রান্স। আর ম্যাচ শেষ সেখানেই। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার পরই সোনা জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র, জিতেছে ৬৭–৬৬ পয়েন্টে।
সেটিই হয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের এবারের আসরের ৪০ তম সোনা। সর্বশেষ সোনাটি জিতেই পদক তালিকায় সবার ওপরে উঠে গেল যুক্তরাষ্ট্র। ৪০টি সোনা জিতেছে চীনও। তবে চীনের চেয়ে রুপা জয়ে জয়ে এগিয়ে থাকায় মার্কিন শ্রেষ্ঠত্বেই শেষ হলো প্যারিস অলিম্পিক।
তবে রুপা ও ব্রোঞ্জ জয়ে চীনের চেয়ে এগিয়ে থাকায় পদক তালিকায় সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এ নিয়ে টানা চারটি অলিম্পিক সবার ওপরে থেকে শেষ করল অলিম্পিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সোনাজয়ী দেশটি।
প্যারিসে ৪০ সোনা, ৪৪ রুপা ও ৪২ ব্রোঞ্জসহ মোট ১২৬টি পদক জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন জিতেছে ৪০টি সোনা, ২৭টি রুপা ও ২৪টি ব্রোঞ্জসহ ৯১টি পদক। তৃতীয় স্থানে আছে আরেকটি এশিয়ার দেশ। জাপান ২০টি সোনা জিতে তৃতীয় হয়েছে। ১২টি রুপা ও ১৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৪৫টি পদক জিতেছে দলটি। স্বাগতিক ফ্রান্স ১৬ সোনাসহ ৬৪ পদক নিয়ে আছে পাঁচে। ১৮ স্বর্ণ নিয়ে চারে অস্ট্রেলিয়া।
প্যারিসে পদক জিতেছে ৮৯টি দেশ। এর বাইরে রিফিউজি ও দেশের পরিচয় ছাড়া অ্যাথলেটরাও জিতেছেন পদক। দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে পদক জিতেছে পাকিস্তান ও ভারত।
জেএ