পাকিস্তানকে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো বানাতে চান গিলেস্পি
হতাশাগ্রস্ত এক সময়ের বৃত্তে বন্দী পাকিস্তান ক্রিকেট। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাদের পারফরম্যান্স ছিল শোচনীয়। যদিও ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই পাকিস্তানের কোচিং স্টাফে বড় রদবদল আনা হয়েছে। সীমিত ওভারের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) ফরম্যাটে গ্যারি কার্স্টেন ও টেস্টের প্রধান কোচ করা হয়েছে জেসন গিলেস্পি। সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান তারকা দায়িত্ব নেওয়ার পরই পাকিস্তানের টেস্ট দলকে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো গড়ে তোলার কথা বলেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকান গ্যারি কার্স্টেনের অধীনে ইতোমধ্যে কয়েকটি সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন বাবর আজমরা। সে হিসেবে এখনও কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি গিলেস্পিকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজ দিয়ে তার মাঠের দায়িত্ব শুরু হতে যাচ্ছে। দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ শুরু হবে আগামী ২১ আগস্ট থেকে।
পাকিস্তানের খেলার ধরনে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়ে টেস্ট কোচ গিলেস্পি বলেছেন, ‘আমি চাই পাকিস্তানের মানুষ এবং মিডিয়া জাতীয় দলের খেলা দেখে বলুক, এরকম স্টাইলে দলের ক্রিকেট খেলা উচিৎ। সবচেয়ে সহজ উদাহরণ হচ্ছে ইংল্যান্ড। কারও কোনো সন্দেহ নেই যে ইংল্যান্ড কেমন ক্রিকেট খেলে। সকলেই জানে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের মাইন্ডসেট কেমন। আমি এটাই আমার দলের মধ্যে আনতে চাই। আমি চাই না কোচ হিসেবে দলে যোগ দিয়ে শুধুই এটা করতে চাই বা ওটা করতে চাই বলব। আমার কাজ দলের সবাইকে সমর্থন করা আর ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে নিয়ে আসা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মাত্রই এখানে এসেছি। প্রথমে ক্রিকেটার ও অন্যান্য কোচদের সঙ্গে বসে তাদের মধ্যে কিছু বিষয়ে আলাপ করতে চাই। আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশ কীভাবে ক্রিকেট খেলছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট জানি। তারা সফল হচ্ছে কি না তা নয়, অন্তত তাদের অস্তিত্ব যে আছে সেটাই জানে সবাই। সে হিসেবে আমি সেটাই বলতে চাই, খেলার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড় গড়তে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে এভাবে। ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচিং স্টাফের সমন্বয় এবং পিসিবির সঙ্গে একত্রে আমরা নিশ্চিতভাবে উন্নতি ও সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারব।’
আরও পড়ুন
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন পাক ক্রিকেটারকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে অনুমতি না দেয়নি পিসিবি। এর স্বপক্ষে নতুন টেস্ট কোচ বলেন, ‘ক্রিকেটাররা কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রয়েছে। বোর্ড থেকে তারা ভালোই টাকা পাচ্ছে, তাই আমাদের অধিকার রয়েছে ক্রিকেটারকে ফিটনেসের জন্য বিরতি নিতে বলার, যাতে তাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়। এ ছাড়া পাকিস্তানের পরের সিরিজের জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। আমরা চাই ক্রিকেটাররা লিগে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করুক, কিন্তু পাকিস্তানের কথাও তো ভাবতে হবে। পরে এ নিয়ে সৎভাবে কিছু আলোচনা করতে হবে, কিন্তু এই মূহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেটের যা দরকার সেটাই করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ১৫টি টেস্ট ম্যাচে মাত্র ৩টিতে জিতেছে পাকিস্তান, তাও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হেরেছে ৮টি টেস্টে, বাকি চারটি টেস্ট ড্র। এমন খারাপ ট্র্যাক রেকর্ডই বদলানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ টেস্ট দলের কোচ জ্যাসন গিলেস্পির কাছে।
এএইচএস