লাউতারোতে লিড আর্জেন্টিনার
আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা এসেছিলেন বদলি হিসেবে। সেই লাউতারো মার্টিনেজই ফাইনালে এনে দিলেন লিড। দুর্দান্ত এক শটে ভাঙলেন ডেডলক। ম্যাচের ১১১ মিনিটে লিড পেল আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে থ্রু বল পাঠিয়েছিলেন জিওভানি লো সেলসো। বদলি নামা এই মিডফিল্ডারের পাস খুঁজে নেয় লাউতারো মার্টিনেজকে। সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশে বল জালে পাঠান লাউতারো মার্টিনেজ।
চলতি আসরে এটি তার ৫ম গোল। ম্যাচের ডেডলক ভাঙা গোলটি যেন ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়া লিওনেল মেসির বুক থেকেও বড় একটি বোঝা নামিয়ে দিলো। লাউতারোর সঙ্গে গোল উদযাপনে যোগ দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকাও। কেবল মেসিই নন, এই গোল আনহেল ডি মারিয়াকেও পূর্ণতা দিলো। যিনি রেকর্ড কোপা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খেতাব নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিকে বিদায় বলতে যাচ্ছেন।
এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আসেনি ফলাফল। ফলে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যকার কোপা আমেরিকার ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের নাটকীয় এক মুহূর্তে লিওনেল মেসি মাঠ ছেড়েছেন কান্নাভেজা চোখে। কোপা আমেরিকায় নিজের শেষ ম্যাচটা পুরো খেলা হয়নি তার। এদিকে ২০২২ বিশ্বকাপের পর আরও একবার আর্জেন্টিনার ফাইনাল গেল অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচজুড়ে অবশ্য আধিপত্য দেখিয়েছে কলম্বিয়ান শিবির। ম্যাচপূর্ব ঘটনায় আগে থেকেই মানসিকভাবে আর্জেন্টিনা ছিল বিপর্যস্ত। ম্যাচ শুরুর আগেই কলম্বিয়ার উগ্র ভক্তদের তোপের মুখে পড়েন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের স্বজনেরা। সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসা হয়নি পুরো ম্যাচে। পুরো ম্যাচেই কলম্বিয়ার শারীরিক ফুটবল আর প্রেসিংয়ের কাছে অসহায় হয়ে ছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। পুরোটা সময় তাদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে কলম্বিয়ার আক্রমণ ঠেকাবার কাজে।
প্রথমার্ধে তাদের আক্রমণের মুখে অনেকটা তটস্থ ছিলো আলবিসেলেস্তে রক্ষণ। পরের অর্ধে লিওনেল স্কালোনির দল গতি বাড়ায়, পাশাপাশি সেটপিস ও কর্নার থেকে ভালো কিছু সুযোগও তৈরি করেছিল। একইভাবে পাল্টা আক্রমণ চালায় হামেস রদ্রিগেজ, সান্তিয়াগো আরিয়াসরা। তবে কেউই নির্ধারিত সময়ের ভেতর গোলের মুখ দেখেনি।
জেএ