ইউরোয় গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে ৬ জন, নির্ধারণ যেভাবে
ফুটবলে বৈশ্বিক কিংবা মহাদেশীয় যেকোনো বড় প্রতিযোগিতায় আকর্ষণীয় একটি পুরস্কার গোল্ডেন বুট। যা টুর্নামেন্ট শেষে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার হাতেই ওঠে। ১৯৬০ সাল থেকে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। সাধারণত সর্বোচ্চ গোলদাতা পেয়ে থাকেন গোল্ডেন বুট, যদি একাধিক ফুটবলার সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করেন তাহলে তাদের অ্যাসিস্ট সংখ্যা বিবেচনায় (২০২০ নিয়ম অনুযায়ী) নেওয়া হয়। তবে এবার সেই নিয়মে বদল এসেছে। জার্মানিতে চলমান ইউরাতে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে আছেন ৬ জন।
ইউরো ২০২৪ আসরে গোল্ডেন বুটের নিয়ম পরিবর্তন করে উয়েফা জানিয়েছে, আজ রোববারের ফাইনালে যদি এককভাবে কোনো ফুটবলার সর্বোচ্চ গোলে এগিয়ে যেতে না পারেন, তবে ছয়জনকেই গোল্ডেন বুট দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত চলতি আসরে ছয়জন সমান সংখ্যক সর্বোচ্চ ৩টি করে গোল করেছেন। সে তালিকায় থাকা দুজন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন ও স্পেনের দানি ওলমো ইউরোর ফাইনালে খেলবেন আজ রাতে। এই দুজনের যেকোনো একজনের গোল্ডেন বুট জেতার সম্ভাবনা বেশি।
তবে যদিও তাদের কেউ গোল না পান, কিংবা দুজনই সমান গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন, তাহলে দুজনেই পাবেন গোল্ডেন বুট। আবার যদি কেউ গোল না পান তবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার উঠবে ৬ জনের হাতে। কেইন-ওলমো ছাড়া সর্বোচ্চ তিনটি করে গোল করেছেন আরও চারজন। তারা হচ্ছেন– নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাজে, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও স্লোভাকিয়ার ইভান শ্রাঞ্জ।
আরও পড়ুন
এর আগে সমান গোলের ঝামেলা দেখা গিয়েছিল সবশেষ ২০২০ ইউরোতেও। আসরটিতে টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ গোল ছিল একসঙ্গে দুজনের। পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিক ৫টি করে গোল করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত গোল্ডেন বুটের পুরস্কারটা পেয়েছিলেন রোনালদো। কারণ, ৫ গোলের সঙ্গে একটি ‘অ্যাসিস্ট’ও (গোলে সহায়তা) ছিল পর্তুগিজ তারকার, যা শিকের ছিল না। তখন উয়েফার নিয়ম ছিল গোলের সংখ্যা সমান হলে প্রথমে দেখা হবে কে বেশি গোলে সহায়তা করেছেন। গোলে সহায়তায়ও সমান হলে বিবেচনায় নেওয়া হবে কে কম সময় খেলেছেন।
অন্যদিকে, ২০১২ ইউরোয় তিনটি করে গোল ছিল স্পেনের ফার্নান্দো তোরেস, জার্মানির মারিও গোমেজ ও রাশিয়ার অ্যালান জাগোয়েভের। বাকি দুজনের তুলনায় কম সময় খেলার সুবাদে গোল্ডেন বুট উঠেছিল তোরেসের হাতে। তবে এবার সেই দুটি নিয়মের কোনোটিই দেখা যাবে না ইউরোতে। যদি সমান গোল নিয়ে গোল্ডেন বুট একাধিক জনকে দেওয়া হয়, তবে সেটি হবে বিরল ঘটনা। তবে এমন ঘটনা যে একেবারেই ঘটেনি তাও নয়, গোল সমান হলে অন্যান্য মানদণ্ডের মাধ্যমে গোল্ডেন বুটজয়ী চূড়ান্তের নিয়মটি চালু হয় ২০০৮ ইউরোর পর। এর আগে সর্বোচ্চসংখ্যক গোল যতজনই করতেন, তারাই পেতেন গোল্ডেন বুট। সেই নিয়মটি এবার আবারও দেখা যাবে।
তবে যদি ছয়জনই পুরস্কার পান, তাহলে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে এই আসর। এর আগে ইউরোর এক আসরে সর্বোচ্চ পাঁচজন গোল্ডেন বুট জিতেছেন ১৯৬০ সালে। সেটি ছিল ইউরোর প্রথম আসর। শেষ পর্যন্ত এবারের আসরে কী ঘটে সেটি দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আজ মধ্যরাত পর্যন্ত। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিওন স্টেডিয়ামে ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন-ইংল্যান্ড।
এএইচএস