‘রোনালদো স্বার্থপর’ – ডেইলি মেইলের কলামে সাবেক ব্রিটিশ ফুটবলার
ইংলিশ গণমাধ্যম বরাবরই কিছুটা আগ্রাসী ঘরানার। প্রশংসা হোক বা নিন্দা, ব্রিটিশ গণমাধ্যমের জন্য দুটোই বেশ সহজ। কাউকে প্রশংসা করার ক্ষেত্রে বাড়তি ভাবনা যেমন দরকার হয় না, তেমনি নিন্দা করতে গেলেও শব্দচয়ন নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে হয় না তাদের।
সেই ব্রিটিশ মিডিয়া এবার তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। পর্তুগিজ এই তারকাকে স্বার্থপর উল্লেখ করা হয়েছে ডেইলি মেইলের এই কলামে। তাতে দাবি করা হয়েছে, রোনালদো এই মুহূর্তে দলে থেকে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই করছেন বেশি। অবশ্য সরাসরি মিডিয়া নয়, কলামে এমন কথা উল্লেখ করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার ক্রিস সাটন।
চেলসি, অ্যাস্টন ভিলা, সেল্টিকে খেলা সাবেক এই স্ট্রাইকার বিগত কয়েক বছর ধরেই ব্রিটিশ ফুটবল পণ্ডিত হিসেবে কাজ করছেন। এবারের ইউরোতে লিখছেন ডেইলি মেইলে। সেখানেই এক কলামে রোনালদোকে ‘স্বার্থপর তারকা’ উল্লেখ করে সাটন লিখেছেন, ‘এ মুহূর্তে সে পর্তুগাল দলকে সাহায্য করার চেয়ে বাধা তৈরি করছে বেশি।’
পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্তিনেজ রোনালদোকে বাদ দিতে ভয় পান উল্লেখ করে সাটন লিখেছেন, ‘একজন কোচকে অবশ্যই বুঝতে হবে, যখন কেউ দলের উপকারে আসে না, তাকে বাদ দিতে হবে। সে যে-ই হোক না কেন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা না করে যথেষ্ট সাহসী হতে হবে। কিন্তু রবার্তো মার্তিনেজকে দেখে মনে হলো, তিনি রোনালদোকে বাদ দিতে ভয় পান।’
আরও পড়ুন
রোনালদোকে ছাড়াও পর্তুগালে ভাল স্ট্রাইকার আছে, এমনই দাবি তার। একইসঙ্গে রোনালদোকে দলে রাখলে পর্তুগাল দুর্বল হয়ে পড়বে এমনই মত তার, ‘মার্তিনেজ তাঁর দলে দিয়োগো জোতার মতো খেলোয়াড় পেয়েছেন, স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে সে পেনাল্টি পাইয়ে দিয়েছিল। এ ছাড়া হোয়াও ফেলিক্স আছে। মার্তিনেজ যত বেশি দিন রোনালদোকে বাদ দিতে অস্বীকৃতি জানাবেন, তাকে ততই দুর্বল দেখাবে।’
এবারের ইউরোটাই অবশ্য খুব একটা ভালো যায়নি রোনালদোর। প্রথমবারের মতো গ্রুপপর্ব পার করেছেন কোনো গোল না করেই। এরপর রাউন্ড অব সিক্সটিনেও পাননি গোলের দেখা। উল্টো পেনাল্টি মিস করে দলের বিপদ বাড়িয়েছিলেন। নিজেও কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সেই মিসের পর।
বাইরে সমালোচনা চললেও দলের কোচ রবার্তো মার্টিনেজকে ঠিকই পাশেই পাচ্ছেন রোনালদো। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে পেনাল্টি মিস করলেও সে ম্যাচের পর কোচের মুখে শুধুই রোনালদো বন্দনা, ‘সে আমাদের জন্য একটা উদাহরণ। পেনাল্টি মিসের পর ওই আবেগ অসামান্য। তার ক্যারিয়ারে সে যা অর্জন করেছে তার বিপরীতে এমন পেনাল্টি হাতছাড়া করায় তার খুব বেশি ভাবার দরকার ছিল না। ওই পেনাল্টি মিসের পর সেই শ্যুটআউটে প্রথম পেনাল্টি টেকার ছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম সেইই সবার আগে যাবে আর আমাদের জয়ের পথ দেখাবে। যেভাবে সে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সেটা আমাদের জন্য উদাহরণ আর আমরাও খুব গর্বিত।’
ঘটনাবহুল সেই ম্যাচের পর পর্তুগাল স্লোভেনিয়ার বাঁধা টপকে চলে গিয়েছে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে আগামীকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ফ্রান্সের বিপক্ষে নামবে তার দল।
জেএ